ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে মুক্তি পাচ্ছে ‘রুম নম্বর ২০১১’ গণতন্ত্র ও বিএনপি সমান্তরাল : মির্জা ফখরুল আ.লীগ দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল : তারেক রহমান

সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত”মুফতী শফিক মাযহারী

  • রাজু আহমেদ, ঢাকা
  • আপডেট সময় ০২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৩০ বার পড়া হয়েছে

সালাম আরবী শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, আরাম, আনন্দ ইত্যাদি। সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামী অভিবাদন। আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম আদমকে (আ.) সালামের শিক্ষা দেন। হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তাআলা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন। আসসালামু আলাইকুম মানে আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেওয়া নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর এর উত্তর দেওয়া অবশ্যকরণীয়। হাদিসে রয়েছে, একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের দেখা হলে কথা বার্তার আগে সালাম দিতে হবে। সালামের ফজিলত অনেক। প্রথমত সালাম দেওয়া সুন্নত ও সালামের উত্তর (ওয়ালাইকুমুস সালাম) দেওয়া ওয়াজিব । হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর খিদমতে হাজির হলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন, এরপর সে মজলিশে বসে গেল।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, দশ। অর্থাৎ তার সালামের কারণে তার জন্য দশটি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেকজন লোক এলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন। তারপর সে বসে পড়ল। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, বিশ। অর্থাৎ তার জন্য বিশটি নেকি লেখা হলো। তারপর তৃতীয় একজন এলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন। তারপর সে মজলিশে বসে পড়ল। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, ত্রিশ। অর্থাৎ তার জন্য ত্রিশটি নেকি লেখা হলো। (আবু দাউদ) –

সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন দু’জন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সালামের দ্বারা পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়।

হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক মুসলমানের অন্য মুসলমানের ওপর ছয়টি হক রয়েছে- যখন সাক্ষাৎ হয়, তখন তাকে সালাম করবে। যখন দাওয়াত দেয়, তখন তার দাওয়াত কবুল করবে। যখন তার হাঁচি আসে (এবং আলহামদুলিল্লাহ বলে) তখন তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে। যখন অসুস্থ হয়, তখন তাকে দেখতে যাবে। যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জন্য তাই পছন্দ করবে যা নিজের জন্য পছন্দ করে। (ইবনে মাজাহ) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, এক মুসলমানের অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি হক রয়েছে- সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচিদাতার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা।

(বোখারি) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ওই পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবে না, যে পর্যন্ত মোমিন না হয়ে যাও। (অর্থাৎ তোমাদের জিন্দেগি ইমানওয়ালা জিন্দেগি না হয়ে যায়।) এবং তোমরা ওই পর্যন্ত মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত পরস্পর একে অপরকে মহব্বত না করো। আমি কি তোমাদের ওই আমলটি বলে দেব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে মহব্বত পয়দা হবে? ( সেটা এই যে) তোমরা পরস্পর সালামের খুব প্রচলন ঘটাও।

হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা সালামের খুব প্রচলন ঘটাও। তাহলে তোমরা উন্নত হয়ে যাবে। (তাবারানি, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আগে সালাম করে। (আবু দাউদ) হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম করে, সে অহংকার থেকে মুক্ত। (বায়হাকি)

হজরত কাতাদা (রহ.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তুমি কোনো ঘরে প্রবেশ করো, তখন ওই ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করো। আর যখন (ঘর থেকে) বের হও, তখনো ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করে বিদায় হও। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কোনো মজলিশে যায়, তখন যেন সালাম করে। তারপর যদি বসতে চায়, তবে বসে। এরপর যখন মজলিশ থেকে উঠে যেতে ইচ্ছা করে, তখন যেন আবার সালাম করে। কেননা প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম থেকে উত্তম নয়। অর্থাৎ মুলাকাতের সময় যেমন সালাম করা সুন্নত, তেমনি বিদায়ের সময়ও সালাম করা সুন্নাত। (তিরমিজি)

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ছোট বড়কে সালাম করবে। পথচারী বসা ব্যক্তিকে সালাম করবে এবং কমসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোককে সালাম করবে। (বোখারি) সর্বত্র সালামের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন।

লেখকঃ
মুফতী শফিকুল ইসলাম মাযহারী
খতিব
বাইতুল আমান জামে মসজিদ, মুগদা-ঢাকা।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

সালামের গুরুত্ব ও ফজিলত”মুফতী শফিক মাযহারী

আপডেট সময় ০২:২৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

সালাম আরবী শব্দ। এর অর্থ শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, আরাম, আনন্দ ইত্যাদি। সালাম একটি সম্মানজনক অভ্যর্থনামূলক ইসলামী অভিবাদন। আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম আদমকে (আ.) সালামের শিক্ষা দেন। হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তাআলা তাকে ফেরেশতাদের সালাম দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি সালাম দিলে ফেরেশতারাও এর উত্তর দেন। আসসালামু আলাইকুম মানে আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।

কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেওয়া নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর এর উত্তর দেওয়া অবশ্যকরণীয়। হাদিসে রয়েছে, একজন মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের দেখা হলে কথা বার্তার আগে সালাম দিতে হবে। সালামের ফজিলত অনেক। প্রথমত সালাম দেওয়া সুন্নত ও সালামের উত্তর (ওয়ালাইকুমুস সালাম) দেওয়া ওয়াজিব । হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর খিদমতে হাজির হলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন, এরপর সে মজলিশে বসে গেল।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, দশ। অর্থাৎ তার সালামের কারণে তার জন্য দশটি নেকি লেখা হয়েছে। এরপর আরেকজন লোক এলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন। তারপর সে বসে পড়ল। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, বিশ। অর্থাৎ তার জন্য বিশটি নেকি লেখা হলো। তারপর তৃতীয় একজন এলো এবং সে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ বলল। নবী করিম (সা.) তার সালামের জবাব দিলেন। তারপর সে মজলিশে বসে পড়ল। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, ত্রিশ। অর্থাৎ তার জন্য ত্রিশটি নেকি লেখা হলো। (আবু দাউদ) –

সালামের ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন দু’জন মুসলমানের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়, সালাম-মুসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করে তখন একে অপর থেকে পৃথক হওয়ার আগেই তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেওয়া হয়। এছাড়া সালামের দ্বারা পরস্পরের হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়। অহঙ্কার থেকেও বেঁচে থাকা যায়।

হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এক মুসলমানের অন্য মুসলমানের ওপর ছয়টি হক রয়েছে- যখন সাক্ষাৎ হয়, তখন তাকে সালাম করবে। যখন দাওয়াত দেয়, তখন তার দাওয়াত কবুল করবে। যখন তার হাঁচি আসে (এবং আলহামদুলিল্লাহ বলে) তখন তার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে। যখন অসুস্থ হয়, তখন তাকে দেখতে যাবে। যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার জানাজার সঙ্গে যাবে এবং তার জন্য তাই পছন্দ করবে যা নিজের জন্য পছন্দ করে। (ইবনে মাজাহ) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, এক মুসলমানের অন্য মুসলমানের ওপর পাঁচটি হক রয়েছে- সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থকে দেখতে যাওয়া, জানাজার সঙ্গে যাওয়া, দাওয়াত কবুল করা এবং হাঁচিদাতার জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলা।

(বোখারি) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ওই পর্যন্ত জান্নাতে যেতে পারবে না, যে পর্যন্ত মোমিন না হয়ে যাও। (অর্থাৎ তোমাদের জিন্দেগি ইমানওয়ালা জিন্দেগি না হয়ে যায়।) এবং তোমরা ওই পর্যন্ত মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন্ত পরস্পর একে অপরকে মহব্বত না করো। আমি কি তোমাদের ওই আমলটি বলে দেব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে মহব্বত পয়দা হবে? ( সেটা এই যে) তোমরা পরস্পর সালামের খুব প্রচলন ঘটাও।

হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা সালামের খুব প্রচলন ঘটাও। তাহলে তোমরা উন্নত হয়ে যাবে। (তাবারানি, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ) হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ওই ব্যক্তি যে আগে সালাম করে। (আবু দাউদ) হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম করে, সে অহংকার থেকে মুক্ত। (বায়হাকি)

হজরত কাতাদা (রহ.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তুমি কোনো ঘরে প্রবেশ করো, তখন ওই ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করো। আর যখন (ঘর থেকে) বের হও, তখনো ঘরের বাসিন্দাদের সালাম করে বিদায় হও। (মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক) হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কোনো মজলিশে যায়, তখন যেন সালাম করে। তারপর যদি বসতে চায়, তবে বসে। এরপর যখন মজলিশ থেকে উঠে যেতে ইচ্ছা করে, তখন যেন আবার সালাম করে। কেননা প্রথম সালাম দ্বিতীয় সালাম থেকে উত্তম নয়। অর্থাৎ মুলাকাতের সময় যেমন সালাম করা সুন্নত, তেমনি বিদায়ের সময়ও সালাম করা সুন্নাত। (তিরমিজি)

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ছোট বড়কে সালাম করবে। পথচারী বসা ব্যক্তিকে সালাম করবে এবং কমসংখ্যক লোক অধিকসংখ্যক লোককে সালাম করবে। (বোখারি) সর্বত্র সালামের মাধ্যমে সৃষ্টি হবে একে অপরের মধ্যে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের আমলের তাওফিক দান করুন।

লেখকঃ
মুফতী শফিকুল ইসলাম মাযহারী
খতিব
বাইতুল আমান জামে মসজিদ, মুগদা-ঢাকা।