তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১৩১ জন। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন রয়েছেন। রোববার এ ধাপের প্রার্থিতা সময় শেষ হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৮৩৭ প্রার্থী।
এদিকে এ ধাপে একজন চেয়ারম্যানসহ ছয়জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-তিনজনই বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন। এর ফলে এই উপজেলায় আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া গোসাইরহাট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান এবং দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একক প্রার্থী থাকায় তারাও বিনাভোটে জয়ী হয়েছেন। চতুর্থ ধাপের ১১২ উপজেলায় আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। এদিন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। আগামী ২৯ মে এ ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৪১৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০১ ও মহান ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৩ জন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী : প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য মতে-ভাণ্ডারিয়ায় (পিরোজপুর) চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান মৃধা ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মালিকা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী। সোনাগাজীতে (ফেনী) চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতে চেয়ারম্যান পদে চারজন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন খোদেজা খানম। রাঙ্গুনিয়ায় (চট্টগ্রাম) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর ফারুক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শেখর বিশ্বাসকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে শেখর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
ছাতকে (সুনামগঞ্জ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন লিপি বেগম। গোসাইরহাটে (শরীয়তপুর) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন এমদাদ হোসেন বাবলু মৃধা।
ভাঙ্গুড়ায় ভয়ে সরে দাঁড়ালেন এমপিপুত্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী : পাবনা ও ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় এমপিপুত্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ। তিনি পাবনা-৩ আসনের সংসদ-সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম হাসনাইন রাসেলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। রোববার দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাকী বিল্লাহ বলেন, রাসেল আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নানা অত্যাচার নির্যাতন করছে। হামলা-মামলার ভয় দেখানোর কারণে তারা হতাশাগ্রস্ত। এমন পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচন করা মোটেও সম্ভব নয়। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
এ বিষয়ে গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়। গত জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করে তিনি নিজেই দল থেকে ছুটে গেছেন। তিনি ইতোমধ্যে কর্মীশূন্য হয়ে পড়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদেরের ভাগনের : কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) জানান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রেহানা আক্তার (শিউলী হাজারী) মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু যুগান্তরকে বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের (সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের) নির্দেশে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি।
হবিগঞ্জে লড়ছেন বিএনপির তিন নেতা : হবিগঞ্জ কেন্দ্রের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হবিগঞ্জে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন বিএনপি নেতা। তারা হলেন-চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা চৌধুরী নিয়াজ মাহমুদ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহবুবুর রহমান আওয়াল।