অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাই করে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি সাত লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর সম্পদ ও পাঁচ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকা অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। গিয়াসউদ্দিন ২০০৮-২০০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২০২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসাবে ছয় কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের দুই কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, পিতার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ সাত কোটি টাকার দালান, চার লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে।
তবে গিয়াসউদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী কাসসাফ শপিং সেন্টার ০১ নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২০২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস পায়নি দুদক। যা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।