ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেছেন, একটি আদর্শ রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আদর্শ শাসক প্রয়োজন। আর আদর্শ শাসক হতে হলে পরকালের জবাবদিহিতা দরকার। শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় দীক্ষা না থাকলে মানুষ দুর্নীতি মুক্ত হতে পারে না। সরকারে শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই, কিন্তু ইসলামে দিক্ষিত মানুষের অভাব প্রকট। তাই দেশ আজ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
রোববার ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আইন ও মানবাধিকার বিভাগের আয়োজনে পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আইনজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট বায়েজিদ হোসাইনের সভাপতিত্বে ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমতিয়াজ আহমেদ সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের বলেন, ইসলামি সভ্যতার আলোকে গোটা পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল। হাজার বছরের সেই আলোকিত সভ্যতা আজ পরাজিত। একটি জড়বাদী অন্তসারঃশূন্য সভ্যতা মুসলিম তরুণ-যুবকদের চরিত্র হনন করে ইসলামকে মুছে ফেলতে চায়। বাংলাদেশের মুসলিম তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সমকামিতা, মাদক ও মডার্নিজমের নামে এক অপরিণামদর্শী নাশকতা আমদানি করছে একটি গোষ্ঠী। এর বিরুদ্ধে এখনই সচেতন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামই সব সমস্যার সহজ সমাধান। কুরআন অসীম শান্তির আধার। দেশের সর্বস্তরে কুরআন শিক্ষার প্রসার ঘটাতে তরুণ পেশাজীবীদের কাজ করতে হবে।
প্রধান বক্তার আলোচনায় মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন বলেন, তরুণ-যুবকরা ইসলামি অনুশাসনে ফিরতে উৎসাহী। কারণ তারা বুঝতে পারছে, চকচকে আধুনিক সভ্যতা কেবলই মানুষের বিপর্যস্ত ডেকে আনে। তরুণ আইনজীবী, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের আদর্শ তুলে ধরতে হবে। তাহলেই ইসলাম বিরোধীদের সকল পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামি যুব আন্দোলন বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি রহমাতুল্লাহ বিন হাবিব, অর্থ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আবু বকর সিদ্দীক, নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্পাদক মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান এবং ইসলামি আইনজীবী পরিষদ, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও নগর নেতৃবৃন্দ।