ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

একাত্তরের মতো ভারত এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা; একাত্তরেও এই খেলা চলেছিল। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুঃসময়ে, একাত্তরে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা হলো ভারতের অপরাধ। সে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। রাজনীতির এই নোংরা খেলা পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অশুভ খেলা—ভারত বিরোধিতা, ঠিক একই অশুভ খেলা আবার শুরু হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন।

তিনি বলেন,ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে, তাদের ড্রেসিং রুমে, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ফ্রি স্টাইল নয়। কারো দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের দায় দল নেবে না। এক্ষেত্রে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যেসব দেয়াল আছে সেসব ভেঙে দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়ে দল দেখতে চায় কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কোনো মন্ত্রী এমপির অন্যায্য প্রভাব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় দল। কোন বাধা মেনে নেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে। বিএনপি কী বলল না বলল এটা বিচার করে দেশের রাজনীতি চলবে না। তারা নির্বাচনে না গেলেও ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশিরাও এ বাস্তবতা বুঝতে পেরে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

আওয়ামী লীগ ও সরকার সঠিক পথে আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। দেশবাসীর বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

একাত্তরের মতো ভারত এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে: কাদের

আপডেট সময় ০৩:২২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের খেলা; একাত্তরেও এই খেলা চলেছিল। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুঃসময়ে, একাত্তরে পাশে দাঁড়িয়েছে। এই অশুভ খেলায় একাত্তরের মতো ভারতসহ কিছু বন্ধু এবারও আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এটা হলো ভারতের অপরাধ। সে ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে বলে। রাজনীতির এই নোংরা খেলা পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যে অশুভ খেলা—ভারত বিরোধিতা, ঠিক একই অশুভ খেলা আবার শুরু হয়েছে। সব কিছু হারিয়ে বিএনপি এখন ভারত বিরোধিতায় নেমেছে। অ্যান্টি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেইন।

তিনি বলেন,ভারতীয় পণ্য যারা বর্জন করতে বলে, তাদের রান্না ঘরে, তাদের ড্রেসিং রুমে, তাদের শোবার ঘরে ভারত। এটা হলো বাস্তবতা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দল ফ্রি স্টাইল নয়। কারো দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের দায় দল নেবে না। এক্ষেত্রে দল সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় যেসব দেয়াল আছে সেসব ভেঙে দিতে হবে। উপজেলা নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়ে দল দেখতে চায় কতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। কোনো মন্ত্রী এমপির অন্যায্য প্রভাব বরদাশত করা হবে না। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় দল। কোন বাধা মেনে নেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন নিয়ে মানুষের ভয় কেটে গেছে। বিএনপি কী বলল না বলল এটা বিচার করে দেশের রাজনীতি চলবে না। তারা নির্বাচনে না গেলেও ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশিরাও এ বাস্তবতা বুঝতে পেরে সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছে।

আওয়ামী লীগ ও সরকার সঠিক পথে আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা স্থিতিশীল। দেশবাসীর বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই বলেও উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।