১২ বছর ধরে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতোদিনেও সড়কে লক্কর ঝক্কর বাস বন্ধ হয়নি কেন?-এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রীর বলেছেন, ‘আমি মন্ত্রী, আমি তো বাস ঠিক করব না। এই বাসগুলো বন্ধ করলে আপনারাই (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন, জনগণকে কষ্ট দেই। ১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অপবাদ কেন দিচ্ছেন? এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে, একটু সময় দেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি অংশের র্যাম্প (নামার রাস্তা) খুলে দেওয়া উপলক্ষে আজ এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন র্যাম্পটি উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে ১৬টি র্যাম্প চালু হলো। আজ বিকেল থেকে এই র্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
ঢাকায় রমজান মাসে যানজট বাড়ে কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এ সময় মানুষের মধ্যে সৃষ্ট ঈদ আমেজের কথা ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রমজানে মানুষ ঈদ ভারাক্রান্ত হয়, শপিংমলে যায়। যানজট একটু থাকবেই। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তো যানজট হচ্ছে না। মানুষ কম সময়ে যাচ্ছে। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আছে। ধীরে ধীরে ঠিক হবে। একসঙ্গে সব হবে না তো।’
বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই একটু প্রকল্প দেরি হয়েছে। এটাও হয়ে যাবে।’
উদ্বোধনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ কারওয়ান বাজার র্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের অগ্রগতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরের শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।’
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এর দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো কাজ শেষ হলে মোট ৩১টি র্যাম্প দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ওঠানামার সুযোগ হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার।