ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

বিএনপির রাজনীতিতে থাকবেন কিনা, জানালেন মেজর হাফিজ

বিএনপির রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই আলোচিত দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন। দ্বাদশ নির্বাচনের আগমুহূর্তে তিনি ছিলেন বেশ আলোচিত। সম্প্রতি ২১ মাসের সাজা মাথায় নিয়ে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। তার পর ৫ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিনও পান মেজর হাফিজ।

দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।

এ সময় মামলার প্রসঙ্গ উঠে এলে মেজর হাফিজ বলেন, আমি নাকি জনতা ব্যাংকের স্টাফ বাস পুড়িয়েছি। এ জন্য আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যারা আমাকে এই শাস্তিটি দিয়েছেন আশা করি তারা একদিন লজ্জিত হবেন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গুঞ্জন উঠে— আপনার ওপর অনেক চাপ ও প্রলোভন ছিল?

জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, প্রলোভন ছিল না, তবে বন্ধুবান্ধবের চাপ ছিল। বিশেষ করে সেসব বন্ধুর, যারা সামরিক বাহিনীর সদস্য বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী। যাদের সঙ্গে একসঙ্গে পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে একসময় ছিলাম, তারা আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তারা বিভিন্ন অনুরোধও করেছিলেন।

ক্ষমতাসীন মহল থেকে কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে, আমি হয়তো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দেব বা নতুন দল গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রেখে বীরবিক্রম খেতাব পাওয়া মেজর হাফিজ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জানে, আমি যদি বিএনপি ছাড়ি, দলের অনেকে আমার সঙ্গী হতে পারে। বিএনপিরও কিছু কিছু এমপি আছেন, যারা দলে অবমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা আমাকে অনেকে অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তবে আমি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইনি। এখনো চাই না। আমি বিএনপি করি, বিএনপি করেই যাব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

বিএনপির রাজনীতিতে থাকবেন কিনা, জানালেন মেজর হাফিজ

আপডেট সময় ০৪:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

বিএনপির রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই আলোচিত দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজউদ্দিন। দ্বাদশ নির্বাচনের আগমুহূর্তে তিনি ছিলেন বেশ আলোচিত। সম্প্রতি ২১ মাসের সাজা মাথায় নিয়ে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। তার পর ৫ মার্চ আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে জামিনও পান মেজর হাফিজ।

দেশের রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।

এ সময় মামলার প্রসঙ্গ উঠে এলে মেজর হাফিজ বলেন, আমি নাকি জনতা ব্যাংকের স্টাফ বাস পুড়িয়েছি। এ জন্য আমাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যারা আমাকে এই শাস্তিটি দিয়েছেন আশা করি তারা একদিন লজ্জিত হবেন।

জাতীয় নির্বাচনের আগে গুঞ্জন উঠে— আপনার ওপর অনেক চাপ ও প্রলোভন ছিল?

জবাবে মেজর হাফিজ বলেন, প্রলোভন ছিল না, তবে বন্ধুবান্ধবের চাপ ছিল। বিশেষ করে সেসব বন্ধুর, যারা সামরিক বাহিনীর সদস্য বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী। যাদের সঙ্গে একসঙ্গে পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসেবে একসময় ছিলাম, তারা আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। তারা বিভিন্ন অনুরোধও করেছিলেন।

ক্ষমতাসীন মহল থেকে কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে, আমি হয়তো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দেব বা নতুন দল গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রেখে বীরবিক্রম খেতাব পাওয়া মেজর হাফিজ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জানে, আমি যদি বিএনপি ছাড়ি, দলের অনেকে আমার সঙ্গী হতে পারে। বিএনপিরও কিছু কিছু এমপি আছেন, যারা দলে অবমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা আমাকে অনেকে অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। তবে আমি এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইনি। এখনো চাই না। আমি বিএনপি করি, বিএনপি করেই যাব।