ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না : মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না, রাজপথে আমরা থাকব। রাজপথ কারো নিজের সম্পত্তি নয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান ‘হত্যার’ প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে শুরু করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, এখন আর স্লোগান দিও না। তখন নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ফাজলামি করো? এরপর নেতাকর্মীরা স্লোগান বন্ধ করলে আবার বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের খালি হাত, আপনারাও খালি হাতে আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন। দেখি কার কত ক্ষমতা। আর যদি বলেন-লগি বৈঠা, সেটাও সই। আমরা নিয়ে আসব। আমাদেরও বন্দুকের লাইসেন্স দিন, আমরাও বন্দুকের লাইসেন্স চাই। বন্দুক দিয়ে বন্দুক মোকাবিলা করব। আমরা জয়লাভ করব। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা কথার কথা নয়। সমানে-সমানে লড়াই হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাকে এক ছোট ভাই বলেছে- বুক পেতে দিয়েছি, আরও গুলি করো। কিন্তু না, আমরা আর গুলি খাওয়ার জন্য বুক পেতে দেবো না। আমাদেরকেও লাইসেন্স দিন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো কর্মসূচি সরকার পতনের জন্য ছিল না। জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসব কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনকে গুলি করে মারা হলো। তার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে এখন আগুন জ্বলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে, অনেকের নামে মামলা করছে। এই সরকার খুন, হত্যা, হামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। তাদের কথা হচ্ছে, আমি অন্য কিছু বুঝি না। আমার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা চাই। কারণ ক্ষমতায় থাকলে লুট করা যায়। ব্যাংক লুট করা যায়, মানুষের পকেট কাটা যায়। আর মানুষের ওপর অত্যাচার করা চায়।

তিনি আরও বলেন, তিনজনকে হত্যা করা হলো। এটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এই সরকারের কিছু যায় আসে না। উল্টো তারা কি বলছে- পুলিশের গায়ে আঘাত করলে তারা কি ছেড়ে দেবে। যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে, সেটা তো একটা যুদ্ধাস্ত্র। এটা তো যুদ্ধে ব্যবহার হয়। চাইনিজ রাইফেল, এটা পুলিশ-ডিবির হাতে কেন? ব্রিটিশ সরকার অনেক শক্ত সরকার হলেও তারা পুলিশের হাতে একটা ব্যাট ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।

যে সরকার ও পুলিশ আমার টাকায় চলে, তার কোনো ক্ষমতা নেই আমার গায়ে হাত দেওয়ার মন্তব্য করে আব্বাস বলেন, বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা যাবে না। সব হত্যার বিচার করা হবে। এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে নিহত শাওন প্রধানের ভাই ফরহাদ হোসেনও যোগ দেন। তিনি বলেন, শাওন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসময় ফরহাদ নিজে স্লোগান ধরেন- শাওন হত্যার বিচার চাই। যুবদলের নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে স্লোগান ধরেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না : মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ০৫:৩১:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না, রাজপথে আমরা থাকব। রাজপথ কারো নিজের সম্পত্তি নয়। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান ‘হত্যার’ প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবদল।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে শুরু করলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। এসময় মির্জা আব্বাস বলেন, এখন আর স্লোগান দিও না। তখন নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ফাজলামি করো? এরপর নেতাকর্মীরা স্লোগান বন্ধ করলে আবার বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের খালি হাত, আপনারাও খালি হাতে আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন। দেখি কার কত ক্ষমতা। আর যদি বলেন-লগি বৈঠা, সেটাও সই। আমরা নিয়ে আসব। আমাদেরও বন্দুকের লাইসেন্স দিন, আমরাও বন্দুকের লাইসেন্স চাই। বন্দুক দিয়ে বন্দুক মোকাবিলা করব। আমরা জয়লাভ করব। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা কথার কথা নয়। সমানে-সমানে লড়াই হবে।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাকে এক ছোট ভাই বলেছে- বুক পেতে দিয়েছি, আরও গুলি করো। কিন্তু না, আমরা আর গুলি খাওয়ার জন্য বুক পেতে দেবো না। আমাদেরকেও লাইসেন্স দিন। তিনি বলেন, আমাদের কোনো কর্মসূচি সরকার পতনের জন্য ছিল না। জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসব কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে ভোলায় নূরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওনকে গুলি করে মারা হলো। তার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে এখন আগুন জ্বলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় গুলি করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে, অনেকের নামে মামলা করছে। এই সরকার খুন, হত্যা, হামলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদেরকে টিকে থাকতে হবে। তাদের কথা হচ্ছে, আমি অন্য কিছু বুঝি না। আমার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা চাই। কারণ ক্ষমতায় থাকলে লুট করা যায়। ব্যাংক লুট করা যায়, মানুষের পকেট কাটা যায়। আর মানুষের ওপর অত্যাচার করা চায়।

তিনি আরও বলেন, তিনজনকে হত্যা করা হলো। এটা সরকার পতনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এই সরকারের কিছু যায় আসে না। উল্টো তারা কি বলছে- পুলিশের গায়ে আঘাত করলে তারা কি ছেড়ে দেবে। যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছে, সেটা তো একটা যুদ্ধাস্ত্র। এটা তো যুদ্ধে ব্যবহার হয়। চাইনিজ রাইফেল, এটা পুলিশ-ডিবির হাতে কেন? ব্রিটিশ সরকার অনেক শক্ত সরকার হলেও তারা পুলিশের হাতে একটা ব্যাট ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।

যে সরকার ও পুলিশ আমার টাকায় চলে, তার কোনো ক্ষমতা নেই আমার গায়ে হাত দেওয়ার মন্তব্য করে আব্বাস বলেন, বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা যাবে না। সব হত্যার বিচার করা হবে। এই সরকারের পতন ঘটানো হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে নিহত শাওন প্রধানের ভাই ফরহাদ হোসেনও যোগ দেন। তিনি বলেন, শাওন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসময় ফরহাদ নিজে স্লোগান ধরেন- শাওন হত্যার বিচার চাই। যুবদলের নেতাকর্মীরাও তার সঙ্গে স্লোগান ধরেন।