ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে: জাতিসংঘ

বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চারটি আহ্বান জানান।

আহ্বানগুলো হচ্ছে—
১. অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২. বিচারব্যবস্থার অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

বিবৃতির বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব প্রকাশ করে নির্বাচন বয়কট করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছি, যেখানে তাদের কথিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্রুত এবং স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছি।

জাতিসংঘ বলেছে, আমরা সরকারকে মানবাধিকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অবাধ ও নিরাপদ প্রয়োগের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার।

বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে: জাতিসংঘ

আপডেট সময় ০২:০৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে বলে বিবৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি চারটি আহ্বান জানান।

আহ্বানগুলো হচ্ছে—
১. অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, যাদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের জন্য অভিযুক্তদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২. বিচারব্যবস্থার অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়ার অনুরোধ করেন। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং অন্যান্য পদক্ষেপের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত।

বিবৃতির বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব প্রকাশ করে নির্বাচন বয়কট করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছি, যেখানে তাদের কথিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্রুত এবং স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছি।

জাতিসংঘ বলেছে, আমরা সরকারকে মানবাধিকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে, মৌলিক স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের অবাধ ও নিরাপদ প্রয়োগের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করার জন্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অনুরোধ করছি।