ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের ১১ বছর

তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরন, আহত শ্রমিকদের পূনর্বাসন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে ‘কর্মজীবী নারী’র মানববন্ধন।

আজ বৃহস্পতিবার তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছর উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘কর্মজীবী নারী’ কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, মানববন্ধন ও রেলি করেছেন। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানববন্ধন এ বক্তারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও এখন পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরীন ফ্যাশনের মালিকসহ দোষীদের বিচারকার্য শেষ করা হয়নি।

সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ২০১২ সালের আজকের এই দিনে তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাক-কর্মী নিহত হন। আহত হয়েছিলেন ২ শতাধিক।

৮ তলা ভবনের ৫ তলায় কাজ করতেন আঞ্জুয়ারা।অগ্নিকাণ্ডের সময় ৫তলা থেকে কোনোভাবে প্রাণে বাঁচলেও কোমরে ও মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
আঞ্জুয়ারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এতগুলো শ্রমিকের প্রাণ গেল এবং আমরা আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালাম। কিন্তু আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত করেনি।

দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদেরকে নামমাত্র কিছু টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আমরা আহত প্রায় শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছি, তিনি বলেন।

তাজরীন ট্র্যাজেডিতে আহত শ্রমিক সুমি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমারা দাবি জানিয়ে আসছি আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। কিন্তু, আমাদের কোনো দাবি আজ পর্যন্ত পূরণ হলো না।

অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

শ্রমিক রেহানা বলেন, ‘২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার ১১ বছর পার হলেও এখনো দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এ কারণে পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসে আবারও হতাহতের ঘটনা ঘটে। অবিলম্বে তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার এবং পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাতে হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডের ১১ বছর

আপডেট সময় ০৪:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকান্ডে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরন, আহত শ্রমিকদের পূনর্বাসন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবীতে ‘কর্মজীবী নারী’র মানববন্ধন।

আজ বৃহস্পতিবার তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছর উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘কর্মজীবী নারী’ কারখানাটির সামনে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, মানববন্ধন ও রেলি করেছেন। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নিহতদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মানববন্ধন এ বক্তারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির ১১ বছরেও এখন পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরীন ফ্যাশনের মালিকসহ দোষীদের বিচারকার্য শেষ করা হয়নি।

সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ২০১২ সালের আজকের এই দিনে তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জন পোশাক-কর্মী নিহত হন। আহত হয়েছিলেন ২ শতাধিক।

৮ তলা ভবনের ৫ তলায় কাজ করতেন আঞ্জুয়ারা।অগ্নিকাণ্ডের সময় ৫তলা থেকে কোনোভাবে প্রাণে বাঁচলেও কোমরে ও মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
আঞ্জুয়ারা বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এতগুলো শ্রমিকের প্রাণ গেল এবং আমরা আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালাম। কিন্তু আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত সরকার নিশ্চিত করেনি।

দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি। তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদেরকে নামমাত্র কিছু টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আমরা আহত প্রায় শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছি, তিনি বলেন।

তাজরীন ট্র্যাজেডিতে আহত শ্রমিক সুমি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমারা দাবি জানিয়ে আসছি আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। কিন্তু, আমাদের কোনো দাবি আজ পর্যন্ত পূরণ হলো না।

অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

শ্রমিক রেহানা বলেন, ‘২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনার ১১ বছর পার হলেও এখনো দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। এ কারণে পরবর্তীতে রানা প্লাজা ধসে আবারও হতাহতের ঘটনা ঘটে। অবিলম্বে তাজরীনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার এবং পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাতে হবে।