ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি নাশকতায় কোনো শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো এক জঙ্গি সোনারগাঁয়ে গ্রেফতার বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চক্রান্ত করছে সরকার: মির্জা ফখরুল সব ধরনের সহিংসতার নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক চালুর বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি চান প্রতিমন্ত্রী পলক চট্টগ্রামে ছাদ থেকে ফেলা আহত ২ ছাত্রকে দেখতে মেডিক্যালে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তিন দিন পর খুললো ব্যাংক, টাকা তুলতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়! এত রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কোটা সংস্কার চাইনি: সমন্বয়ক

রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে

ঢাকা: বছর শেষে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার সময় এমনিতেই মানসিক চাপে শিশুরা। বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাস-ট্রেনে আগুনের মতো সহিংসতায় সেই চাপ আরও বাড়তে পারে।

এমনটি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি শিশুদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে দেশে কোনো সুনির্দিষ্ট গবেষণা না থাকলেও চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় তাৎক্ষণিক মানসিক চাপে পড়া ছাড়াও শিশুরা দীর্ঘমেয়াদে মানসিক বৈকল্যে ভুগতে পারে। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তারা বলছেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্ঘটনা, যৌন আক্রমণ, যানবাহনের সংঘর্ষ বা মানুষের জীবনে ভীতিকর বা কষ্টদায়ক বিপদগুলো মানসিক বৈকল্য তৈরি করে। শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি। আর অভিভাবকরা বলছেন, সহিংসতার মধ্যে শিশুরা ছাড়াও বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কগ্রস্ত। ‘নিরাপদে স্কুলে যেতে’ রাজধানীর কয়েকটি স্কুলের সামনে এরইমধ্যে মানববন্ধন হয়েছে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করলে বাচ্চারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়। বছরের শেষে পরীক্ষার সূচি রয়েছে। পরীক্ষা নেওয়াও জরুরি। রাজনীতিবিদরা কর্মসূচি দেবেন। তবে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হরতালের বিকল্প কোনো কর্মসূচি চিন্তা করা উচিত।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শুধু হরতাল বা অবরোধ নয়, যুদ্ধ বা সহিংসতা যখন হয় তখন শিশুদের দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। একটি তাৎক্ষণিক মানসিক চাপ তৈরি হয়, আরেকটি হলো পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) হয়। যাতে শিশুদের মনের ওপর এক ধরনের চাপ পড়ে। এতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।

শিশুদের মানসিক চাপ কমাতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আগামীর শিশুদের জন্য আমাদের হরতাল, অবরোধ বা সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। যারা এসব সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে, তাদের কাউন্সিলিং করতে হবে। বাবা-মা বা অভিভাবকদের এ বিষয়ে প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে। প্রভাব আরও বেশি হলে তখন চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জ্বালাও-পোড়াও এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধে অনেক বাস ও ট্রেনে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বছরের শেষে নভেম্বরের মধ্যেই স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভয়-ডর নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।

সহিংসতায় শিশুরা ভয় পায়, ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না জানিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. রোকেয়া খানম বলেন, এতে তাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। সহিংসতায় আমরা বড়রাও সেকি থাকি, বাচ্চারা আরও বেশি সেকি থাকে। এগুলো তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

ডা. রোকেয়া খানম বলেন, তাদের ক্লাস-পরীক্ষা থাকে। সেগুলো ঠিকভাবে করতে না পারলে হতাশা তৈরি হয়। পড়াশোনা না হওয়ায় মনেও আঘাত পড়ে। এসব পরে প্রভাব ফেলতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে প্রভাব একেক রকম হয়।

শিশুরা যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, সেজন্য বাবা-মায়েদের কাউন্সিলিং করতে হবে এবং মানসিকভাবে সঙ্গ দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতেও সহিংসতার প্রভাব শিশুদের ওপর পড়বে দীর্ঘমেয়াদে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজবিজ্ঞানী তৌহিদুল হক বলেন, এখন বছরের শেষে পরীক্ষা হচ্ছে। এ সময়ে কর্মসূচি দিয়ে শিশু-কিশোরদের চলার পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, একেবারেই শিশু যারা, বিশেষ করে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী; তাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়। তারা যদি দেখে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, চোখের সামনে দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিংবা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা হচ্ছে, স্কুলের সামনে দিয়ে মিছিল যাচ্ছে, এসব তাদের মনে প্রভাব পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কথা বলে। কিন্তু কাজ করে ভিন্ন। তারা পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজায়নি। তারা যা বলে, তার মধ্যে তারা আর থাকে না। এসব আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আর শিশু-শিক্ষার্থীদের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে, তা আরও বড় প্রশ্ন।

এ সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন, যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় কর্মসূচি পালন করা হয়, টেবিলে বসে আলোচনা করা হয়, তবে এ পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

রাজনৈতিক সহিংসতাগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে- জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, শিশুদের ওপর প্রভাব তো পড়বেই। মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। কোনো শিশু এগুলো (সহিংসতা) পছন্দও করতে পারে। সভ্য সমাজে এগুলো চলা উচিত নয়। শিশুদের নরমাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাহত হয়ে যায়।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্টারনেট গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি

রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশুদের মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে

আপডেট সময় ০৩:৫১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকা: বছর শেষে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার সময় এমনিতেই মানসিক চাপে শিশুরা। বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাস-ট্রেনে আগুনের মতো সহিংসতায় সেই চাপ আরও বাড়তে পারে।

এমনটি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি শিশুদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে দেশে কোনো সুনির্দিষ্ট গবেষণা না থাকলেও চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় তাৎক্ষণিক মানসিক চাপে পড়া ছাড়াও শিশুরা দীর্ঘমেয়াদে মানসিক বৈকল্যে ভুগতে পারে। তাদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তারা বলছেন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দুর্যোগ-দুর্ঘটনা, যৌন আক্রমণ, যানবাহনের সংঘর্ষ বা মানুষের জীবনে ভীতিকর বা কষ্টদায়ক বিপদগুলো মানসিক বৈকল্য তৈরি করে। শিশুদের ওপর এর প্রভাব বেশি। আর অভিভাবকরা বলছেন, সহিংসতার মধ্যে শিশুরা ছাড়াও বাবা-মায়েরা দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কগ্রস্ত। ‘নিরাপদে স্কুলে যেতে’ রাজধানীর কয়েকটি স্কুলের সামনে এরইমধ্যে মানববন্ধন হয়েছে।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করলে বাচ্চারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়। বছরের শেষে পরীক্ষার সূচি রয়েছে। পরীক্ষা নেওয়াও জরুরি। রাজনীতিবিদরা কর্মসূচি দেবেন। তবে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হরতালের বিকল্প কোনো কর্মসূচি চিন্তা করা উচিত।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শুধু হরতাল বা অবরোধ নয়, যুদ্ধ বা সহিংসতা যখন হয় তখন শিশুদের দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। একটি তাৎক্ষণিক মানসিক চাপ তৈরি হয়, আরেকটি হলো পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) হয়। যাতে শিশুদের মনের ওপর এক ধরনের চাপ পড়ে। এতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে।

শিশুদের মানসিক চাপ কমাতে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আগামীর শিশুদের জন্য আমাদের হরতাল, অবরোধ বা সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। যারা এসব সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে, তাদের কাউন্সিলিং করতে হবে। বাবা-মা বা অভিভাবকদের এ বিষয়ে প্রথম দায়িত্ব নিতে হবে। প্রভাব আরও বেশি হলে তখন চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জ্বালাও-পোড়াও এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে দফায় দফায় হরতাল-অবরোধে অনেক বাস ও ট্রেনে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বছরের শেষে নভেম্বরের মধ্যেই স্কুলগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভয়-ডর নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশু শিক্ষার্থীরা।

সহিংসতায় শিশুরা ভয় পায়, ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না জানিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. রোকেয়া খানম বলেন, এতে তাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। সহিংসতায় আমরা বড়রাও সেকি থাকি, বাচ্চারা আরও বেশি সেকি থাকে। এগুলো তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে। তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

ডা. রোকেয়া খানম বলেন, তাদের ক্লাস-পরীক্ষা থাকে। সেগুলো ঠিকভাবে করতে না পারলে হতাশা তৈরি হয়। পড়াশোনা না হওয়ায় মনেও আঘাত পড়ে। এসব পরে প্রভাব ফেলতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে প্রভাব একেক রকম হয়।

শিশুরা যাতে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ে, সেজন্য বাবা-মায়েদের কাউন্সিলিং করতে হবে এবং মানসিকভাবে সঙ্গ দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

সমাজবিজ্ঞানীদের দৃষ্টিতেও সহিংসতার প্রভাব শিশুদের ওপর পড়বে দীর্ঘমেয়াদে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজবিজ্ঞানী তৌহিদুল হক বলেন, এখন বছরের শেষে পরীক্ষা হচ্ছে। এ সময়ে কর্মসূচি দিয়ে শিশু-কিশোরদের চলার পথ রুদ্ধ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, একেবারেই শিশু যারা, বিশেষ করে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী; তাদের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হয়। তারা যদি দেখে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, চোখের সামনে দিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিংবা প্রতিপক্ষের ওপর হামলা হচ্ছে, স্কুলের সামনে দিয়ে মিছিল যাচ্ছে, এসব তাদের মনে প্রভাব পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কথা বলে। কিন্তু কাজ করে ভিন্ন। তারা পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মসূচি সাজায়নি। তারা যা বলে, তার মধ্যে তারা আর থাকে না। এসব আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আর শিশু-শিক্ষার্থীদের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে, তা আরও বড় প্রশ্ন।

এ সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন, যদি গণতান্ত্রিক পন্থায় কর্মসূচি পালন করা হয়, টেবিলে বসে আলোচনা করা হয়, তবে এ পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

রাজনৈতিক সহিংসতাগুলো শিশুদের মানসিক বিকাশে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে- জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, শিশুদের ওপর প্রভাব তো পড়বেই। মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। কোনো শিশু এগুলো (সহিংসতা) পছন্দও করতে পারে। সভ্য সমাজে এগুলো চলা উচিত নয়। শিশুদের নরমাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাহত হয়ে যায়।