বেশ কিছুদিন হলো সোসাল মিডিয়ার একটি ভিডিও নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। ভিডিও টি পোস্ট হয় গত ৫ই নভেম্বর রাশেদুজ্জামান নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে। এবিষয়ে নিয়ে খোজ খবর নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
যানা যায় মাদারীপুর শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের নতুন স্ট্যান্ডের “শহিদ সিপাই” নামে এক ব্যাক্তি ৪০ জন ছেলেকে ইতালি নেবার প্রলোভন দেখিয়ে হাতিয়ে নেন প্রায় ৫ কোটি টাকা। এদের বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া পর্যন্ত নিয়ে যায়। তারপর শুরু হয় আসল ঘটনা, তাদের আটকে রেখে টাকার জন্য চাপ দেয়া হয় পরিবারের লোকদের।
বাশকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাসেল বেপারী ও তারই ভাই বাশকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম মাওলা বোপারী এবং ঐ এলাকার মাদবর মতিন সিপাই সহ আরও কয়েকজন এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা আছে এমন অভিযোগ উঠে আসে।
ভুক্তি ভোগী ও তার স্বজনদের সাথে কথা বললে তারা জানান শহিদ সিপাই আমাদের এক একজনের থেকে ১১ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৫ কোটি টাকা নিয়েছে তাদের সন্তানদের ইতালি পৌঁছে দিবে বলে। কিন্তু প্রায় দের বছর পার হয়ে গেছে ইতালি নিবে তো দুরের কথা তাদের খোঁজ খবরও তারা নিচ্ছে না। তারা আরও বলেন এই দালাল চক্রটি খুব শক্তি শালি তাই আমরা তাদের কাছে পাত্তা পাচ্ছি না।
হাবিব সিপাই নামে এক ভুক্ত ভোগী বলেন আমার চার সন্তানের মধ্যে তিন সন্তান এখন লিবিয়ায় আটক। আমি আমার বসত বাড়ি বিক্রি করে আমার ছেলেদের পাঠিয়েছি। আমি জমি হারালাম এখন আমার সন্তানদের হারাতে বসেছি। আমি আমার সন্তানদের ফেরত চাই, আর এমন ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলুক সুস্থির দাবি করছি।
ইউপি সদস্য রাসেল বেপারী ও যুবলীগের সভাপতির সাথে কথা বললে তারা বলেন আমাদের প্রতিপক্ষ আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন , যেখানে আমরা নিজেরাই ভুক্ত ভুগী কারন আমাদের আপন বোনের ছেলে এবং ভাতিজাও এখন লিবিয়া আটক আছে।
শহিদ সিপাইর সাথে কথা বলতে তার বাড়ি গেলে দেখা যায় তার বাড়িতে ঝুলছে তালা। শহিদ ছিপাই লিবিয়া চলে গেছে এবং তার স্ত্রী পালিয়ে গেছে। বিশ্বস্ত সুত্রে জানায় যায় শহিদ সিপাইর স্ত্রী এখন শশুর বাড়ি বরিশালে আছে।
এ ব্যাপারে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্য জনাব সুব্রত গোলদারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমাদের কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসে নি। অভিযোগ আসলে অবশ্যই তদন্তের মাধ্যমে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।