রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন জনপ্রিয় চেয়ারম্যান স্থানীয় পায়রাবন্দ বাজাারের মাছ ব্যবসায়ী হাকিম আলীর ছোট ভাই হারুন মাছ কাটার বটি দ্বারা বাম কাঁদে আঘাত করলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত হয়।
স্থানীয় সূত্র ও সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রোববার(৫ নভেম্বর রাত ৯.২৫ (আনুঃ) দিকে পায়রাবন্দ বাজারে অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঔষধের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার জন্য বের হন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে। পাশে দাড়িয়ে থাকা স্থানীয় সদরপুর গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে হারুন তার বড় ভাই মাছ ব্যবসায়ী হাকিম আলীর দোকানের মাছ কাটার কাজ করতো দীর্ঘদিন থেকে।সেই সুবাদে চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তার একটা সুসম্পর্ক ছিল আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান দোকানের ঝাপ বন্ধ করার সময় হারুন হাতের বটি দিয়ে আঘাত করেন বাম কাধে ওতাৎক্ষণিক রাস্তায় পড়ে যায় আহত চেয়ারম্যান।বাজারে অবস্থানরত স্থানীয়রা ছুটে এসে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে নিহত হন। হামলাকারীকে স্থানীয় বাজারের লোকজন আটক করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে।
চেয়ারম্যানকে হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে আসে শত শত মানুষ এ সময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা রাজু হাজীর মুঠোফোনে মিঠাপুকুরের সংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানকে এমপিকে জানান হামলাকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত। স্থানীয় নেতার এমন কথা শুনে অনেকেই হতভাগ ও উত্তেজিত হয় জনতা জনগণ বলে চেয়ারম্যান জামায়াতপন্থী হওয়ায় কারণে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে হত্যা করে হামলাকারীকে বাঁচাতে পাগল উপাধি দিচ্ছে।
এদিকে হামলার খবরে তাৎক্ষণিক ছুটে চলে আসেন জেলা পুলিশ সুপারের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার তিনি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন,হামলাকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে আমাদের তদন্ত চলছে,আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়,এর সাথে অন্য কেউ যদি সম্পৃক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিঠাপুকুর রংপুর পীরগঞ্জের এএসপি ডি সার্কেল আবুল হাসান,মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান, মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান।