ঢাকা: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির তৃতীয় দিনে সড়কে আগের দুদিনের চেয়ে গণপরিবহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও রিকশার পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলের আধিক্য থাকায় সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামটর, কারওয়ান বাজার, গুলশানের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এরআগে, গত দুই দিনের তুলনায় আজ সড়কে বাস বেশি থাকায় ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে না বলে জানান যাত্রীরা। সকাল ৯টার দিকে কারওয়ান বাজার মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকের সড়কেই গাড়ির সংখ্যা অনেক। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে বাসের জন্য স্টপেজগুলোয় যাত্রীদের তেমন অপেক্ষাও নেই।
অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দুদিন গত মঙ্গল ও বুধবার ঢাকার সড়কগুলো ছিল বেশ ফাঁকা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সীমিত ছিল গণপরিবহন চলাচল। খুব একটা ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার যানবাহনও।
এদিকে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের শেষ দিনেও সতর্ক পাহারায় রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। নাশকতা ঠেকাতে গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন দলটির নেতারা। সকাল ৯টা থেকে নেতাকর্মীদের আসতে দেখা যায়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংখ্যাও বেড়েছে।
সরকার পতনে এক দফার আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার (২৯ অক্টোবর) হরতাল শেষে তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। তবে বিএনপি নির্বাচন বানচালে নাশকতা করতে চায় জানিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও।