ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ-ভারতের প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ যৌথভাবে ভারতীয় সহায়তায় বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্প তিনটি হলো আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ; খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।

আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট ১ উন্মোচন করেন এবং ১ নভেম্বর ২০২৩-এ ইউনিট ২ উদ্বোধন করা হবে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।

এই প্রকল্পগুলো অত্র অঞ্চলে কানেক্টিভিটি ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তিন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ-ভারতের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৩০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ যৌথভাবে ভারতীয় সহায়তায় বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্প তিনটি উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্প তিনটি হলো আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ; খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২।

আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার অধীনে বাংলাদেশকে প্রদত্ত ভারতীয় ৩৯২.৫২ কোটি রুপি ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়াল গেজ ও ত্রিপুরায় ৫.৪৬ কিলোমিটার রেললাইনসহ এই রেল সংযোগের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের কনসেশনাল লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছে যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই প্রকল্পে মোংলা বন্দর ও খুলনায় বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে।

ভারতীয় কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের আওতায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট হলো বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১৩২০ মেগাওয়াট (২X৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি)। প্রকল্পটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়েছে, যা ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে একটি ৫০৫০ জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট ১ উন্মোচন করেন এবং ১ নভেম্বর ২০২৩-এ ইউনিট ২ উদ্বোধন করা হবে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।

এই প্রকল্পগুলো অত্র অঞ্চলে কানেক্টিভিটি ও বিদ্যুৎ নিরাপত্তা জোরদার করবে বলে আশা করা হচ্ছে।