ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল টঙ্গীতে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ উন্নয়নের সফলতা ও উপহার বিতরণ মিঠাপুকুরে কুবিতে পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে মানববন্ধন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের শ্বশুর ইন্তেকাল সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

অবরোধে বিশেষ নিরাপত্তা, যথাসময়ে ঢাকা ছেড়েছে সব ট্রেন

ঢাকা: বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধে চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য বিশেষ নিরাপত্তায় ছেড়েছে ট্রেন। রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রেলওয়ে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে ঢিল থেকে বাঁচতে ট্রেনচালকদের (লোকোমাস্টার) হেলমেট পরে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই প্রত্যেকটি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

তিনি বলেন রেলের যাত্রীরা যেন বিরক্ত বা ভীত না হন, সেজন্য আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। প্রতিটি ট্রেনে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী থাকবে। সকাল থেকে প্রত্যেকটি ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির অবরোধ কেন্দ্র করে ট্রেনের যাত্রী ও চালক-গার্ডদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত আনসার মোতায়নের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বিএনপির হরতালের দিন থেকেই সব ট্রেনে অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দেওয়া হয়েছে। স্টেশন এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ইঞ্জিনের নিরাপত্তায় প্রয়োজন হলে অস্ত্রধারী পুলিশ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা করছি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবরোধ বা হরতাল যাই হোক না কেন শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। অবরোধের জন্য ট্রেন বন্ধ থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্দিষ্ট দিনে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো শুধু বন্ধ থাকবে।

সতকর্তার অংশ হিসেবে ট্রেনে নিয়মিত নাশকতাবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া কমলাপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোয় পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

অবরোধে বিশেষ নিরাপত্তা, যথাসময়ে ঢাকা ছেড়েছে সব ট্রেন

আপডেট সময় ১১:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধে চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য বিশেষ নিরাপত্তায় ছেড়েছে ট্রেন। রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী রেলওয়ে পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

একইসঙ্গে ঢিল থেকে বাঁচতে ট্রেনচালকদের (লোকোমাস্টার) হেলমেট পরে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

অবরোধের প্রথম দিন মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই প্রত্যেকটি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

তিনি বলেন রেলের যাত্রীরা যেন বিরক্ত বা ভীত না হন, সেজন্য আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। প্রতিটি ট্রেনে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ বাহিনী থাকবে। সকাল থেকে প্রত্যেকটি ট্রেন যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গিয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির অবরোধ কেন্দ্র করে ট্রেনের যাত্রী ও চালক-গার্ডদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অতিরিক্ত আনসার মোতায়নের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেলের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীকে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, বিএনপির হরতালের দিন থেকেই সব ট্রেনে অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য দেওয়া হয়েছে। স্টেশন এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ইঞ্জিনের নিরাপত্তায় প্রয়োজন হলে অস্ত্রধারী পুলিশ দেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ঢাকা বিভাগীয় কমান্ড্যান্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে ইতোমধ্যে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় যেকোনো সময় যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়াই যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশা করছি।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবরোধ বা হরতাল যাই হোক না কেন শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। অবরোধের জন্য ট্রেন বন্ধ থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্দিষ্ট দিনে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো শুধু বন্ধ থাকবে।

সতকর্তার অংশ হিসেবে ট্রেনে নিয়মিত নাশকতাবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানা গেছে। এছাড়া কমলাপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোয় পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে।