ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল টঙ্গীতে ফের শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ উন্নয়নের সফলতা ও উপহার বিতরণ মিঠাপুকুরে কুবিতে পাহাড়ে অস্থিরতা ও মব জাস্টিসের বিরদ্ধে মানববন্ধন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের শ্বশুর ইন্তেকাল সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিল শ্রমিকরা

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।

রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।

রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ

গাজীপুরে পোশাক কারখানায় আগুন দিল শ্রমিকরা

আপডেট সময় ০৭:৩৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকায় এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড নামে এক পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে শ্রমিকরা।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কাশিমপুর রোডে কোনাবাড়ী থানা সংলগ্ন এবিএম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানায় শ্রমিকরা ভাঙচুর করার পর আগুন দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই কারখানায় অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সারাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ডিবিএল ও সরাবো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা কাজ করছে।

এদিকে, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভের সময় রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাসেল স্থানীয় ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিনি সেখানকার ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।

রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সকালে তাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে তারা পায়ে হেঁটে বাসার দিকে রওনা হন। এ সময় পুলিশ গুলি চালায়।

রাসেলের বুকের ডান পাশে ও ডান হাতে গুলি লাগে। প্রথমে স্থানীয় পরে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেকে নেওয়া হয়।

রাসেলের চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে (টিকেট) ঢামেকের চিকিৎসক ‘গুলিতে মৃত্যু’ বলে উল্লেখ করেছেন।