ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ।
ঢাকায় বিএনপি”র ডাকা সরকার পতনের আন্দোলন সমাবেশে যাওয়ার সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্নআহবায়ক জামাল উদ্দিন হাওলাদার (৪২), ও বিএনপি কর্মী মিলন পাটোয়ারী (৪০), মোহাম্মদ রতন (৪০), মোঃ শাহজান (৪৫), মাহবুবুর রহমান (৪২)। তাদেরকে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার ভোলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ। এছাড়াও শনিবার ঢাকায় বিএনপির ডাকা সমাবেশে যাওয়ার সময় ঢাকার বাবু বাজার এলাকা থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফয়সাল ফরাজি ও টবগী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক পাভেল হাওলাদারকে আটক করেছে পুলিশ এমন তথ্য আটককৃত পরিবারের।
অন্যদিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নেছারউদ্দিন বাহার মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রের ঘোষিত ২৮ তারিখের মহা সমাবেশকে সফল করতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্য উপজেলার হাকিমুদ্দিন লঞ্চঘাটে একত্রিত হয়। পরে বোরহানউদ্দিন থানার সিভিল পোশাকে ১০/১২ জন পুলিশ লঞ্চঘাটে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করেন।
আটককৃত ৫ বিএনপি’র কর্মীকে বোরহানউদ্দিন থানায় পূর্বের একটি বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে পুলিশ। তবে বিস্ফোরক মামলাটি মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দাবী করে মামলার বিরুদ্ধে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এদিকে বিস্ফোরণ মামলা সুত্রে জানাযায় – গত ০৪-০২-২০২৩ ইং তারিখ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে বোরহানউদ্দিন থানা এলাকার বিএনপি’র নেতা কর্মীরা বিভিন্ন সময় মিছিল ও সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়।
একই দিনে ৩১-১ ২০২৩ তারিখ রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সভা শেষে ওই দিন দিবাগত রাত ১২ টা ১৫ মিনিটের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের শহিদ খানের বাসার সামনে সরকার বিরোধী স্লোগান, উস্কানি মূলক কথাবার্তসহ ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল জাতীয় হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
এতে মামলার বাদী পক্ষিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ও সাক্ষীরা আহত হয়। পরে ককটেল ফাটানো শব্দ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ওই মামলায় আটককৃত বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখিয়ে ভোলার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে জানাযায়।