ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইউএনও’র অফিস সহকারীর কোটি টাকার অবৈধ ছেলের নামে কেনেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট গোয়াইনঘাটে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুরাদনগরে ঘাতকের ছুরিকাঘাতে নিহত : ১ আহত-৩ বেলাবতে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিংয়ে শিক্ষার্থীরা কুমিল্লায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে মঠবাড়িয়ায় যৌথ অভিযান পরিচালনা। চট্টগ্রামের নগরী ঝাউতলা বাজার ও কর্ণফুলী বাজার সবজি আসছে না। ফলে দাম বেড়েছে দ্বিগুণের মতো। 1Win официальный сайт БК: 1Вин ставки на спорт

হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র‌্যাব

ঢাকা: র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে এ কথা জানান তিনি।

খন্দকার মঈন বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক রাজধানীর কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও আক্রমণ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা চালায়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও আক্রমণ চালায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য হতাহত হন। সন্ত্রাসীরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে ও অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ করে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতেও হামলা করে।

বিভিন্ন সমাবেশে দায়িত্ব পালনরত গণমাধ্যম কর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে তারা। এছাড়াও, তারা বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত সিসিটিভিও ভাঙচুর করা হয় বরে জানান খন্দকার মঈন।

এই কর্মকর্তা বলেন, যে সব সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলা ও আক্রমণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনজীবন বিপর্যস্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে র‌্যাব।

র‌্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির সশাবেশস্থলে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে একইসময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। পল্টন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।

এছাড়া শাপলা চত্ত্বরের কাছাকাছি নটরডেম কলেজের সামনে সমাবেশ করে জামায়াত। তাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউএনও’র অফিস সহকারীর কোটি টাকার অবৈধ

হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র‌্যাব

আপডেট সময় ০৬:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে এ কথা জানান তিনি।

খন্দকার মঈন বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক রাজধানীর কাকরাইল, নয়াপল্টন, মতিঝিল ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও আক্রমণ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা চালায়। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা ও আক্রমণ চালায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য হতাহত হন। সন্ত্রাসীরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে ও অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ করে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাড়িতেও হামলা করে।

বিভিন্ন সমাবেশে দায়িত্ব পালনরত গণমাধ্যম কর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে তারা। এছাড়াও, তারা বিভিন্ন সড়কে স্থাপিত সিসিটিভিও ভাঙচুর করা হয় বরে জানান খন্দকার মঈন।

এই কর্মকর্তা বলেন, যে সব সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলা ও আক্রমণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনজীবন বিপর্যস্ত করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিল তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে র‌্যাব।

র‌্যাবের গোয়েন্দারা গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে জড়িত দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির সশাবেশস্থলে হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের দিকে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে একইসময়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। পল্টন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।

এছাড়া শাপলা চত্ত্বরের কাছাকাছি নটরডেম কলেজের সামনে সমাবেশ করে জামায়াত। তাদের সঙ্গে পুলিশের কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।