কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে কুমিল্লায় এসেছে বিএনপির তদন্ত দল।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার ঠাকুরপাড়া এলাকায় অবস্থিত শশ্মান কালিমন্দিরে এসে হামলায় আহতদের কথা বলেন তারা। এসময় নেতৃবৃন্দ আহতদের কাছ থেকে ঘটনার দিনের বিস্তারিত তথ্য জানেন এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
গত ১৩ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা শহরের করভবনের কাছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর একটি তদন্ত দল গঠন করে বিএনপি। তদন্ত কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
সেই প্রেক্ষিতে শনিবার (২১ অক্টোবর) নগরীর ঠাকুরপাড়া শশ্মান কালি মন্দিরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় ও আহতদের দেখতে আসেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা ভুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহবায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিনসহ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা ভুলু বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারনে মন্দিরে হামলা হয়। তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়, ভোটের জন্য তাদের কারো কাছে যেতে হয়না। তাই ভুল লোক নির্বাচিত হয়। তাদের কোন জবাবদিহিতা নেই।