দায়িত্ব গ্রহণের একদিন পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিহত পাবনার দুই শহীদ জাহিদুল ইসলাম ও মাহাবুব হাসান নিলয়ের কবর যিয়ারত, পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আর্থিক সহযোগিতা করলেন পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আওয়াল মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে আরিফপুর সদর কবরস্থানে মাহবুব হাসান নিলয়ের কবর যিয়ারত করেন। এরপর আরিফপুরের বজ্রনাথপুরের তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। এরপর চর বলরামপুরের নিহত জাহিদের করব যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করে আর্থিক সহযোগিতা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো: আমজাদ হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান
প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো শাহাদাৎ ইকবাল, ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো: বেলাল হোসেন, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক
মো: আবু সাঈদ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান
প্রফেসর মো: আসাদুজ্জামান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান
প্রফেসর মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক মো: রফিকুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর মো: লুৎফর রহমান , প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর রওশন আক্তার বানু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের খালিদ হোসাইন সহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনার নেতৃত্বস্থানীয়
সমন্বয়ক গণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল মিয়া বলেন, আমাদের পাবনার দু’জন শিক্ষার্থী শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুনভাবে বাংলাদেশ পেয়েছি। শহীদের রক্ত কখনো বৃথা যায়না। শহীদের একফোঁটা রক্ত মাটিতে পরার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের সব পাপ মাফ হয়ে যায়। কিয়ামতের ময়দানে শহীদেরা সাদা কাপড় ছাড়া উঠবে। ফেরেস্তারা জিজ্ঞাসা করবে এদের কাপড় কোথায় তখন আল্লাহ বলবেন এদের কিছু লাগবে না। এদের বিনা হিসেবে জান্নাতে দিয়ে দাও। একজন শহীদ ১০ জনকে জান্নাতে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। শহীদের সরদার হবেন হযরত হামযা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু। আল্লাহ তায়ালা আপনাদের বড় নিয়ামত দিয়েছেন। আপনাদের পরীক্ষা করবেন। এজন্য পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধারন করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দালনে শহীদ এবং আহতদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করব। তাহলেই কেবল তাদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। সবাইকে আন্তরিকভাবে দেশের জন্য দায়িত্ব পালন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতা সার্থক করতে কাজ করতে হবে।