ঢাকা ১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির!

ধর্ম যার যার উৎসব সবার: বীর বাহাদুর

বান্দরবান: দেবীর মুখ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে শুরু হয়েছে সনাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
এবারও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ হয়েছে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠের প্রধান মণ্ডপটি।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বান্দরবানের রাজার মাঠে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের মণ্ডপে দেবীর মুখোন্মোচন করেন, পরে সবাই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক অলক ধরসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আর এ কারণেই বান্দরবান সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী সানন্দে পূজা পার্বণ উৎসব পালন করে আর সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।

এসময় পার্বত্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সবাই নিজ নিজ ধর্ম সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারছে আর আগামীতেও এই সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে ধর্মীয় চর্চা করতে হবে। ধর্ম যাতে সবার কল্যাণে কাজে লাগে সেভাবে সবাইকে পথ চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী পৌর এলাকার গরিব ও অসহায়দের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করেন।

এদিকে শহরের রাজার মাঠের মণ্ডপে দুর্গোৎসব উপলক্ষে বসেছে মেলা। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে পূজা প্রাঙ্গণ। বর্ণিল আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়েছে রাতের পূজামণ্ডপ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহৎ এই পূজামণ্ডপ দেখতে ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।

বান্দরবানে এবার সাত উপজেলায় ৩২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে আর দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব)

ধর্ম যার যার উৎসব সবার: বীর বাহাদুর

আপডেট সময় ১১:৪৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

বান্দরবান: দেবীর মুখ উন্মোচনের মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে শুরু হয়েছে সনাতনী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।
এবারও দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ হয়েছে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠের প্রধান মণ্ডপটি।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বান্দরবানের রাজার মাঠে কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের মণ্ডপে দেবীর মুখোন্মোচন করেন, পরে সবাই মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করেন।

এ সময় তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক অলক ধরসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আর এ কারণেই বান্দরবান সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এখানে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী সানন্দে পূজা পার্বণ উৎসব পালন করে আর সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।

এসময় পার্বত্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সবাই নিজ নিজ ধর্ম সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারছে আর আগামীতেও এই সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে কাজ করে যাবে।

পার্বত্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে ধর্মীয় চর্চা করতে হবে। ধর্ম যাতে সবার কল্যাণে কাজে লাগে সেভাবে সবাইকে পথ চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে পার্বত্যমন্ত্রী পৌর এলাকার গরিব ও অসহায়দের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করেন।

এদিকে শহরের রাজার মাঠের মণ্ডপে দুর্গোৎসব উপলক্ষে বসেছে মেলা। লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে পূজা প্রাঙ্গণ। বর্ণিল আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়েছে রাতের পূজামণ্ডপ। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহৎ এই পূজামণ্ডপ দেখতে ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছে অসংখ্য ভক্তবৃন্দ।

বান্দরবানে এবার সাত উপজেলায় ৩২টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হচ্ছে আর দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে মণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।