ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির!

রাজশাহীতে উন্মুক্ত হলো শেখ রাসেল শিশুপার্ক

 

রাজশাহী মহানগরের ১৯নং ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রামে রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রায় ৬ দশমিক ৫ বিঘা জায়গার উপর নবনির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হয়েছে। শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ রাসেল শিশুপার্ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উন্মোক্তকরণের দিনে সহস্রাধিক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯নং ওয়ার্ড ঘনবসিতপূর্ণ, এই ওয়ার্ডে অনেক মানুষ বসবাস। তবে এখানে শিশুদের বিনোদনের এবং বয়স্ক মানুষদের হাটাহাটির জন্য নিরাপদ কোন জায়গা ছিল না। ছোটবনগ্রামের এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছিল। এই জায়গায় পার্ক নির্মাণের ইচ্ছে ছিল। এটি করতে পেরেছি। শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজকে শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হলো। আগামীতে গ্রিনজোন সহ এই রকম পার্ক শহরের বিভিন্ন এলাকায় করে দিতে চাই। যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি শিশু-কিশোররা পার্কে আসে, ছুটাছুটি করতে পারে, তাদের মানসিক বিকাশ হয়।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে এই শিশু পার্কটি নির্মাণ করতে পেরেছি। তিনি প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আরো একটি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্প আমরা তৈরি করছি। এটি আগামীতে ইনশাল্লাহ অনুমোদন হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্কে রয়েছে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতি সহ দৃষ্টিনন্দন ফটক, দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারী ওয়াল, দর্শনীয় কৃত্রিম লেক, পার্কের অভ্যন্তরে বাউন্ডারি ওয়ালের চারদিকে ওয়াকওয়ে,এমপিথিয়েটার, কফিশপ, প্রশাসনিক ভবন, শিশুদের জন্য স্লিপার, দোলনা সহ বিভিন্ন রাইড, রাতের দৃষ্টিনন্দন লাইটিং সিস্টেম, পাবলিক টয়লেট সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। বক্তব্য রাখেন ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। আরো উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল-আযিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলতাফুন নেছা, সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন, সদস্য শামসুন্নাহার মুক্তি, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, সরকারি আর্কিটেক্ট গৌরব দে, সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শাবাব আহমাদ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী শাকিল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব)

রাজশাহীতে উন্মুক্ত হলো শেখ রাসেল শিশুপার্ক

আপডেট সময় ০৫:৪৪:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

 

রাজশাহী মহানগরের ১৯নং ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রামে রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রায় ৬ দশমিক ৫ বিঘা জায়গার উপর নবনির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হয়েছে। শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বুধবার বিকেলে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ রাসেল শিশুপার্ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
উন্মোক্তকরণের দিনে সহস্রাধিক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে শেখ রাসেল শিশুপার্ক। অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯নং ওয়ার্ড ঘনবসিতপূর্ণ, এই ওয়ার্ডে অনেক মানুষ বসবাস। তবে এখানে শিশুদের বিনোদনের এবং বয়স্ক মানুষদের হাটাহাটির জন্য নিরাপদ কোন জায়গা ছিল না। ছোটবনগ্রামের এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছিল। এই জায়গায় পার্ক নির্মাণের ইচ্ছে ছিল। এটি করতে পেরেছি। শেখ রাসেল এর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজকে শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হলো। আগামীতে গ্রিনজোন সহ এই রকম পার্ক শহরের বিভিন্ন এলাকায় করে দিতে চাই। যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি শিশু-কিশোররা পার্কে আসে, ছুটাছুটি করতে পারে, তাদের মানসিক বিকাশ হয়।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে এই শিশু পার্কটি নির্মাণ করতে পেরেছি। তিনি প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আরো একটি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্প আমরা তৈরি করছি। এটি আগামীতে ইনশাল্লাহ অনুমোদন হবে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্কে রয়েছে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতি সহ দৃষ্টিনন্দন ফটক, দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারী ওয়াল, দর্শনীয় কৃত্রিম লেক, পার্কের অভ্যন্তরে বাউন্ডারি ওয়ালের চারদিকে ওয়াকওয়ে,এমপিথিয়েটার, কফিশপ, প্রশাসনিক ভবন, শিশুদের জন্য স্লিপার, দোলনা সহ বিভিন্ন রাইড, রাতের দৃষ্টিনন্দন লাইটিং সিস্টেম, পাবলিক টয়লেট সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। বক্তব্য রাখেন ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। আরো উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল-আযিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলতাফুন নেছা, সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন, সদস্য শামসুন্নাহার মুক্তি, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, সরকারি আর্কিটেক্ট গৌরব দে, সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শাবাব আহমাদ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী শাকিল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ