ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির!

বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের দাপটে ত্যাগীরা কোণঠাসা

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি’র তৃনমূলে দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ন ছিলেন , দলের নিবেদিত প্রান বলে এলাকায় আখ্যায়িত তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বেচেঁ নেই। যারা এখনও বেঁচে আছেন তারা লাঞ্চনা – বঞ্চনার শিকার হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। সাম্প্রতিক সময় বাউফল আওয়ামী লীগের তৃনমূলে বেশ কয়েকজন ত্যাগী নেতার মৃত্যুতে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছেন, বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি নূরুল হক মৃধা , কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মৃধা, কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মস্তফা তালুকদার, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও দাশপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ওই ইউনিয়নের একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নুরু মোহাম্মাদ ওরফে নুরু মিয়া ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট ইউনুচ, মিয়া, বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নবি আলী মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পূর্ন চন্দ্র মজুমদার, এরা ছিলেন আওয়ামী লীগের দূর্দিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা। এরা বর্তমানে কেউ বেচেঁ নেই।

কিন্তু দল যখন ক্ষমতায় তখন দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিটদের দাপটে ওই সমস্ত ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা হয়ে লাঞ্চনা বঞ্চনার শিকার হয়ে ধূকে ধূকে মৃত্যু বরন করেন। এমনকি ওই সমস্ত নেতা কর্মীদের প্রতি এলাকার একাধিকবার দলীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ তাদের প্রতি কোন অনুকম্পা দেখাননি বলে অভিযোগ উঠেছে ।

এছাড়া, বাউফল আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন বঙ্গবন্ধুর কৃষক লীগের অনেক ত্যাগি ও নিবেদীত নেতা আছে যারা আওয়ামী লীগের দূরর্দীনে ওই সংগঠনের কান্ডারি হিসেবে কাজ করতেন। যাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিলেন বারেক শিকদার, নাজিরপুর ইউনিয়নের আলি আহম্মেদ হাওলাদার , যারা বেচেঁ আছেন তাদের মধ্যে এস.এম ইউসুফ, মাহাবুব মাষ্টার,বারেক চৌকিদার, বর্তমানে দল ক্ষতায় থাকলেও তারা মূল দলের কাছে মূল্যায়িত হননি। বরঞ্চ তারা লাঞ্চনার বঞ্চনার শিকার হয়ে দলের প্রতি মুখ ফিরিয়ে আছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা বলেন, ’ওই সমস্ত নেতাদের আমি দল থেকে কিছুই দিতে পারিনি। তারা আমার নেতা কর্মী বলে স্থানীয় এমপি ফিরোজ ভাই কিছু দেওয়া তো দূরের কথা আমার নেতা কর্মীদের সাথে বৈরি আচরন করতেন।

এমনকি মামলা মকদ্দমা দিয়েও হয়রানি করতেন’। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দিন ফরাজি বলেন- স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ দ্বারা লাঞ্চনার-বঞ্চনার শিকার হয়ে দলের কোনঠাঁসা হয়ে মৃত্যুর পথযাত্রি হয়ে প্রহর গুনছেন। ১৯৯৬ সালে যখন দল ক্ষমতায় ছিল তখন মোঃ জসীম উদ্দিন ছিলেন দলের সাধারন সম্পাদক। জসীম ফরাজী ছিলেন আওয়ামী লীগের নিরলোভী ত্যাগী কর্মী।

বর্তমানে দলের মধ্যে আগত হাইব্রিডরা অর্থবিত্তের এবং ক্ষমতার দাপটে বলিষ্ট। তারা বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ বলে পরিচিত, দলের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক বারের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব হাওলাদারও বর্তমানে লাঞ্ছনা – বঞ্চনা শিকার হয়ে তিনি কোনঠাসা হয়ে পরেছেন।

এ ব্যাপারে মোতালেব হাওলাদার বলেন, ”স্থানীয় এমপির দলের প্রতি একছত্র আধিপত্য বিস্তার, কর্তৃত্ববাদী, একক ক্ষমতা, দলের মধ্যে পরিবার তন্ত্র বলয় সৃষ্টির, এসবের প্রতিবাদ করায় আমার মতো অনেক ত্যাগি নেতা কর্মীকে লাঞ্ছনা – বঞ্চনা শিকার নিঃশেষ হয়ে দল থেকে নিঃশেষ হতে চলছে”। এ সমস্ত ত্যাগি নেতা কর্মীদের সন্তানেরাও দলে স্থান পাচ্ছেনা ওই সমস্ত হাইব্রিডদের কারনে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সে সমস্ত নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও অসত্য, যারা জনবিচ্ছিন্ন, অতি লোভী তারা অতি উৎসাহি হয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তাদের উচ্চ আকাঙ্কাকে আমি প্রশ্রায় দেইনি বলে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব)

বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগে হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীদের দাপটে ত্যাগীরা কোণঠাসা

আপডেট সময় ০৪:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি’র তৃনমূলে দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগীর ভূমিকায় অবতীর্ন ছিলেন , দলের নিবেদিত প্রান বলে এলাকায় আখ্যায়িত তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বেচেঁ নেই। যারা এখনও বেঁচে আছেন তারা লাঞ্চনা – বঞ্চনার শিকার হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। সাম্প্রতিক সময় বাউফল আওয়ামী লীগের তৃনমূলে বেশ কয়েকজন ত্যাগী নেতার মৃত্যুতে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হচ্ছেন, বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি নূরুল হক মৃধা , কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মৃধা, কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মস্তফা তালুকদার, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও দাশপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, ওই ইউনিয়নের একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ নুরু মোহাম্মাদ ওরফে নুরু মিয়া ,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চুন্নু মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট ইউনুচ, মিয়া, বগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নবি আলী মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি পূর্ন চন্দ্র মজুমদার, এরা ছিলেন আওয়ামী লীগের দূর্দিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা। এরা বর্তমানে কেউ বেচেঁ নেই।

কিন্তু দল যখন ক্ষমতায় তখন দলের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিটদের দাপটে ওই সমস্ত ত্যাগী নেতারা কোনঠাসা হয়ে লাঞ্চনা বঞ্চনার শিকার হয়ে ধূকে ধূকে মৃত্যু বরন করেন। এমনকি ওই সমস্ত নেতা কর্মীদের প্রতি এলাকার একাধিকবার দলীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ তাদের প্রতি কোন অনুকম্পা দেখাননি বলে অভিযোগ উঠেছে ।

এছাড়া, বাউফল আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন বঙ্গবন্ধুর কৃষক লীগের অনেক ত্যাগি ও নিবেদীত নেতা আছে যারা আওয়ামী লীগের দূরর্দীনে ওই সংগঠনের কান্ডারি হিসেবে কাজ করতেন। যাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিলেন বারেক শিকদার, নাজিরপুর ইউনিয়নের আলি আহম্মেদ হাওলাদার , যারা বেচেঁ আছেন তাদের মধ্যে এস.এম ইউসুফ, মাহাবুব মাষ্টার,বারেক চৌকিদার, বর্তমানে দল ক্ষতায় থাকলেও তারা মূল দলের কাছে মূল্যায়িত হননি। বরঞ্চ তারা লাঞ্চনার বঞ্চনার শিকার হয়ে দলের প্রতি মুখ ফিরিয়ে আছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট খন্দকার শামসুল হক রেজা বলেন, ’ওই সমস্ত নেতাদের আমি দল থেকে কিছুই দিতে পারিনি। তারা আমার নেতা কর্মী বলে স্থানীয় এমপি ফিরোজ ভাই কিছু দেওয়া তো দূরের কথা আমার নেতা কর্মীদের সাথে বৈরি আচরন করতেন।

এমনকি মামলা মকদ্দমা দিয়েও হয়রানি করতেন’। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ জসীম উদ্দিন ফরাজি বলেন- স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ দ্বারা লাঞ্চনার-বঞ্চনার শিকার হয়ে দলের কোনঠাঁসা হয়ে মৃত্যুর পথযাত্রি হয়ে প্রহর গুনছেন। ১৯৯৬ সালে যখন দল ক্ষমতায় ছিল তখন মোঃ জসীম উদ্দিন ছিলেন দলের সাধারন সম্পাদক। জসীম ফরাজী ছিলেন আওয়ামী লীগের নিরলোভী ত্যাগী কর্মী।

বর্তমানে দলের মধ্যে আগত হাইব্রিডরা অর্থবিত্তের এবং ক্ষমতার দাপটে বলিষ্ট। তারা বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিবেদিত প্রাণ বলে পরিচিত, দলের দুর্দিনের ত্যাগী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক বারের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব হাওলাদারও বর্তমানে লাঞ্ছনা – বঞ্চনা শিকার হয়ে তিনি কোনঠাসা হয়ে পরেছেন।

এ ব্যাপারে মোতালেব হাওলাদার বলেন, ”স্থানীয় এমপির দলের প্রতি একছত্র আধিপত্য বিস্তার, কর্তৃত্ববাদী, একক ক্ষমতা, দলের মধ্যে পরিবার তন্ত্র বলয় সৃষ্টির, এসবের প্রতিবাদ করায় আমার মতো অনেক ত্যাগি নেতা কর্মীকে লাঞ্ছনা – বঞ্চনা শিকার নিঃশেষ হয়ে দল থেকে নিঃশেষ হতে চলছে”। এ সমস্ত ত্যাগি নেতা কর্মীদের সন্তানেরাও দলে স্থান পাচ্ছেনা ওই সমস্ত হাইব্রিডদের কারনে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সে সমস্ত নেতা কর্মীরা অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা ও অসত্য, যারা জনবিচ্ছিন্ন, অতি লোভী তারা অতি উৎসাহি হয়ে আমার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তাদের উচ্চ আকাঙ্কাকে আমি প্রশ্রায় দেইনি বলে।