ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব) পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির!

প্লাস্টিক আর অ্যালমনিয়ামের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প

নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজসপত্রের আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এসকল মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য। প্লাস্টিক আর এ্যালমুনিয়ামের ভিড়ে মাটির তৈজসপত্র তেমন চাহিদা নেই বললেই চলে।তাই জীবন ও জীবিকার জন্য পেশা বদলাচ্ছে অনেকে।

এখানে পালেরা নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করে তৈজসপত্র, রয়েছে মাটির তৈরি হাড়ি, সরা, কলস, ফুলের টব, দেবদেবীর মূর্তিসহ আরো অনেক কিছু।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প।পরিবর্তে স্থান দখল করেছে স্টেইনলেস স্টিল, প্লাস্টিক, এ্যালমুনিয়ামের তৈরি সরঞ্জাম

ডাসার ও কালকিনি উপজেলার শশিকর, পাল পাড়ার বেশ কিছু পরিবার এখনো আকড়ে আছে এই শিল্পে। এই পেশা থেকে কোন রকম আয় করে পরিবারের খরচ চালাচ্ছেন এখানের মৃৎশিল্পীরা।

সরে জমিনে গেলে কৃষ্ণ বাড়ৈ অতুল বিশ্বাস, দাগুরাম পালসহ অনেকে জনান, কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসলেও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এখনও মাঠির তৈরি প্রতিমাসহ হাড়ি, পাতিল, কলস, ডাকনা ও মাটির ব্যাংক ইত্যাদি বানিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আমি নিজেও বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই পেশার সঙ্গে জড়িত।

কিন্তু কাচামালের দাম বেশি বাড়ায় আয় কমে যাওয়াই সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তারা।তাই এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা এসকল মৃৎশিল্পীদের। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্রের ব্যবহার কমলেও বেড়েছে পোড়ামাটির গৃহসজ্জার চাহিদা।সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আবারো হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে পারে এমনটাই মনে করছেন মৃৎশিল্পীরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিমপুর কারাগারে নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় আজিজুলের শাস্তির নয়ছয় (প্রথম পর্ব)

প্লাস্টিক আর অ্যালমনিয়ামের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প

আপডেট সময় ০১:১৭:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজসপত্রের আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এসকল মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য। প্লাস্টিক আর এ্যালমুনিয়ামের ভিড়ে মাটির তৈজসপত্র তেমন চাহিদা নেই বললেই চলে।তাই জীবন ও জীবিকার জন্য পেশা বদলাচ্ছে অনেকে।

এখানে পালেরা নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করে তৈজসপত্র, রয়েছে মাটির তৈরি হাড়ি, সরা, কলস, ফুলের টব, দেবদেবীর মূর্তিসহ আরো অনেক কিছু।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্প।পরিবর্তে স্থান দখল করেছে স্টেইনলেস স্টিল, প্লাস্টিক, এ্যালমুনিয়ামের তৈরি সরঞ্জাম

ডাসার ও কালকিনি উপজেলার শশিকর, পাল পাড়ার বেশ কিছু পরিবার এখনো আকড়ে আছে এই শিল্পে। এই পেশা থেকে কোন রকম আয় করে পরিবারের খরচ চালাচ্ছেন এখানের মৃৎশিল্পীরা।

সরে জমিনে গেলে কৃষ্ণ বাড়ৈ অতুল বিশ্বাস, দাগুরাম পালসহ অনেকে জনান, কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসলেও পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এখনও মাঠির তৈরি প্রতিমাসহ হাড়ি, পাতিল, কলস, ডাকনা ও মাটির ব্যাংক ইত্যাদি বানিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আমি নিজেও বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই পেশার সঙ্গে জড়িত।

কিন্তু কাচামালের দাম বেশি বাড়ায় আয় কমে যাওয়াই সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তারা।তাই এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা এসকল মৃৎশিল্পীদের। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্রের ব্যবহার কমলেও বেড়েছে পোড়ামাটির গৃহসজ্জার চাহিদা।সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আবারো হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেতে পারে এমনটাই মনে করছেন মৃৎশিল্পীরা।