নতুন জঙ্গি সংগঠন ’তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ আল-জিহাদী’ আরও এক সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
এটিইউ পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত জঙ্গি সদস্যের নাম বাঁধন হোসেন (২৮)। জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার পূর্ব আমুট্টা (মৃধাপাড়া) জিল্লুর রহমানের পুত্র।
ইতিপূর্বে বাঁধন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র একজন সদস্য ছিল বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী সে।
আজ দুপুরে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) পুলিশ সুপার (অপারেশনস্) অতিরিক্ত দায়িত্বে (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইং) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বিকেলে এটিইউ পুলিশের (অপস শাখার) এএসপি এইচ, এম, মাহাবুব রেজওয়ান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) একটি চৌকস দল গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত বাঁধন হোসেনসহ অপরাপর আসামিগণ ‘আনসার আল ইসলাম’র সদস্য এবং একই মতাদর্শে বিশ্বাসী বেশ কিছু সদস্যদের নিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী)’ গঠন করে তারা ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে উগ্রবাদী অডিও, ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করে গণতন্ত্র উৎখাতের চেষ্টা ও দেশব্যাপী নাশকতার পরিকল্পনার জন্য সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল।
এটিইউ বলছে, গত ১২ অক্টোবর রাতে এটিইউ একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পল্লবী এলাকা থেকে ‘তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল—জিহাদী)’র আরো এক জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেন এরআগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট জেলার রামপাল থেকে দলের সক্রিয় সদস্য রাহুলকে, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থেকে গাজিউল ইসলামকে ঢাকার ভাসানটেক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এএসপি মাহাবুব রেজওয়ান জানান, গ্রেফতারকালে তাদের কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠটির ৮টি পতাকাসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার হয় এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয় গ্রেফতারকৃত বাঁধন হোসেন ওই মামলার এজহারনামীয় আসামী ছিল,তাকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে বাগেরহাটের রামপাল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃত বাঁধন হোসেন জঙ্গি সংগঠন ’তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল—জিহাদী)’ এর সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সংগঠনের অন্যান্য বাকী সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এটিইউ পুলিশের এ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।