মা-ইলিশ প্রজননের জন্য দেশব্যাপী ইলিশ আহরন ক্রয় বিক্রয় মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার ১২’অক্টোবর-২৩ ইং তারিখ থেকে আগামী ২’রা নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে বিগত বছর ধরে সময় উপযোগী এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মৎস্য বিভাগ।
এদিকে আলীপুর মহিপুর মৎস্য বন্দর এলাকায় উপকূলীয় জেলেদের জন্য প্রনোদনা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার ( ১১”অক্টোবর-২৩ ইং) তারিখ দিবাগত রাত ১২.০১ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা সহ ক্রয় বিক্রিয় বন্ধের নিষেধাজ্ঞা আরোপ কার্যকারিতা। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাত করনসহ ক্রয়- বিক্রয় নিষিদ্ধ এবং একইসাথে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ আহরন করলে মৎস্য সংরক্ষন আইন অনুযায়ী অমান্যকারীকে এক থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ড হতে পারে। ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বৃদ্বিতে মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্বান্তে খুশী জেলেরা। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা। তবে প্রদেয় এ প্রনোদনা বাড়ানোসহ নির্ধারিত সময়েই তা প্রকৃত ইলিশ শিকারীদের মাঝে বিতরনের দাবী জেলেদের।জেলায় এক লক্ষের বেশি মাছ শিকারী থাকলেও ইলিশ মাছ শিকারী এবং নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৭৬ হাজার ৯ শত ৬৮ জন।
কুয়াকাটা-অলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও ৭ নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষন করা গেলে বাড়বে মাছের উৎপাদন। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। কোন জেলেই এখন আর অবরোধকালীন সময়ে মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না। তবে এসময়ে জেলেদের যে সহায়তা দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গনসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।