প্রায় চৌদ্দ লক্ষ টাকা ব্যয়ে করে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণের দুই মাস যেতে না যেতেই ভাঙন-ফাটল ধরেছে। সড়কটিতে ভাঙন-ফাটল দেখা দেওয়ার নেপথ্যে বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। প্রশ্ন উঠেছে নির্মাণ কাজের মান এবং স্বচ্ছতা নিয়েও। এ ঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে মেসার্স নওশাদ এন্টারপ্রাইজ মাধ্যমে আরসিসি সড়কটি বাস্তবায়ন করেন উপজেলার চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ। কিন্তু নির্মাণ শেষ হওয়ার দুই মাসের মাথায় রাস্তায় ভাঙন-ফাটলের দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনির হোসেনের জমিতে বালু ভরাটের সময় ড্রেজিং এর পানি আরসিসি সড়ক দিয়ে প্রবাহিত হলে আরসিসি ঢালাইয়ের নিচ থেকে বালু সরে যায়। যানবাহন যাতায়াতের সময় আরসিসি সড়কে ফাটল দেখা দেয়।
এতে সড়কের আরও কয়েক স্থান নষ্ট হচ্ছে। যান চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ হলেও কিছু অসাধু বালু ব্যবসার কারণে সড়কের এ করুণ দশা।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কটি পশ্চিম পাশে এ ভাঙন-ফাটলের দেখা দিয়েছে। এবং আরসিসি ঢালায়ের নিচ থেকে বালু সড়ে গেছে। এতে ভবিষ্যতে বহুমুখী সমস্যা দেখা দিতে পারে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ব্যক্তি মালিকানাধীন নীচু জায়গা ভরাটে বালু বিক্রী করে এসব ড্রেজার ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও চরম দূর্ভোগে আছে পথচারীসহ চালকরা। এভাবে বালু ব্যবসা চলতে থাকলে এ সড়ক একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি আতোয়ার রহমান বলেন, এ সড়ক আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক চলাচলের পথ। সড়কের এমন অবস্থা যা আমাদের জন্য হুমকি। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি নিয়ে বালু ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলে কল রিসিভ নাকরে মোবাইল বন্ধ করে দেন তিনি।
বালু ব্যবসায়ী ও চান্দহর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য দিন ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মাদরাসার মাটি ভরাট করছি, অল্প কিছু কাজ বাকী আছে। আর অন্য কোথাও বালু ভরাট করা হয়নি এবং আরসিসি সড়ক ফাটল বিষয়টি সঠিক নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন, এই বিষয়ে আমি আমার সচিবের মাধ্যমে জানতে পেরেছে। আমি দেখতে যাবো এবং প্রয়োজনে আইনত ব্যবস্থা নিবো।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিপন দেবনাথ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি এখনি ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলছি।