ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

লিবিয়ায় আটক ২২ যুবককে দেশে ফেরানোর আকুতি স্বজনদের

ঢাকা: অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক ২২ বাংলাদেশি যুবককে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আকুতি জানান।

মানববন্ধনের মূল আয়োজক মাসুদ মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জাহিদকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লার দালাল জুয়েল ৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আমার ছেলের মতো এরকম আরও ২০-২১ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে তারা লিবিয়ায় আটকে পড়ে এবং সবাইকে সেখানকার জেলে পাঠানো হয়েছে। এ খবর শোনার পর থেকে আমরা দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তার কোনো পাত্তা পাইনি।

তিনি আরও বলেন, সন্তানদের ছাড়া আমরা অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। তারা কীভাবে আছে, কী খাচ্ছে— তা আমাদের কারো জানা নেই। সন্তানদের চিন্তায় আমাদের অনেকেই মৃত্যুশয্যায় চলে গেছেন। তাই আমাদের আবেদন, বাংলাদেশ সরকার যেন দ্রুত তাদের দেশে আনার উদ্যোগ নেয়।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে বলে মানববন্ধন থেকে জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নিপা আক্তার, শাহআলম ফকির, সেলিমা বেগম, ইমারত প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

লিবিয়ায় আটক ২২ যুবককে দেশে ফেরানোর আকুতি স্বজনদের

আপডেট সময় ০৪:৪৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক ২২ বাংলাদেশি যুবককে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।

সোমবার (৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আকুতি জানান।

মানববন্ধনের মূল আয়োজক মাসুদ মোল্লা বলেন, আমার ছেলে জাহিদকে ইতালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কুমিল্লার দালাল জুয়েল ৬ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। আমার ছেলের মতো এরকম আরও ২০-২১ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে তারা লিবিয়ায় আটকে পড়ে এবং সবাইকে সেখানকার জেলে পাঠানো হয়েছে। এ খবর শোনার পর থেকে আমরা দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তার কোনো পাত্তা পাইনি।

তিনি আরও বলেন, সন্তানদের ছাড়া আমরা অত্যন্ত দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। তারা কীভাবে আছে, কী খাচ্ছে— তা আমাদের কারো জানা নেই। সন্তানদের চিন্তায় আমাদের অনেকেই মৃত্যুশয্যায় চলে গেছেন। তাই আমাদের আবেদন, বাংলাদেশ সরকার যেন দ্রুত তাদের দেশে আনার উদ্যোগ নেয়।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে বলে মানববন্ধন থেকে জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন নিপা আক্তার, শাহআলম ফকির, সেলিমা বেগম, ইমারত প্রমুখ।