ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির! নাগরিকের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মাদারিপুরে হত্যা মামলায় পালাতক ফাঁসির আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

মাদারীপুর সদর থানার মোস্তফাপুর এলাকায় মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত ঘরামি হত্যা মামলায় মো: সেন্টু শরীফকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০১৩ সালে হত্যা মামলা দায়েরের পর জামিন নিয়ে ১০ বছর ছিলেন পলাতক। পরে রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় র‍্যাব-২ এবং র‍্যাব-৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে শরীফকে গ্রেফতার করে।

র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম বলেন শাহাদাত ঘরামি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রতিবেশী মিরাজ ও সেন্টু গৌরনদীর বার্থী এলাকায় যাওয়ার কথা বলে শাহাদাত ঘরামির মোটরসাইকেল ভাড়া নেন। পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষে শাহাদাতকে নির্জন এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ তাদের আত্মীয় ফজেল শেখের মাধ্যমে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি-নওহাটা এলাকার এক পতিত জমিতে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার পরদিন লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করা হয় শাহাদাতের মরাদেহ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টম্বর নিহতের বাবা মোকসেদ ঘরামী বাদী হয়ে মিরাজ ফকির, সেন্টু শরীফ, ফজেল শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত আসামি সেন্টু শরীফকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।আসামি শরীফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, মিনিবাস ও বাসের ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করে আত্মগোপনে ছিলেন।গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল

মাদারিপুরে হত্যা মামলায় পালাতক ফাঁসির আসামি ঢাকায় গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৩:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

মাদারীপুর সদর থানার মোস্তফাপুর এলাকায় মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত ঘরামি হত্যা মামলায় মো: সেন্টু শরীফকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০১৩ সালে হত্যা মামলা দায়েরের পর জামিন নিয়ে ১০ বছর ছিলেন পলাতক। পরে রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় র‍্যাব-২ এবং র‍্যাব-৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে শরীফকে গ্রেফতার করে।

র‍্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম বলেন শাহাদাত ঘরামি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রতিবেশী মিরাজ ও সেন্টু গৌরনদীর বার্থী এলাকায় যাওয়ার কথা বলে শাহাদাত ঘরামির মোটরসাইকেল ভাড়া নেন। পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষে শাহাদাতকে নির্জন এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ তাদের আত্মীয় ফজেল শেখের মাধ্যমে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি-নওহাটা এলাকার এক পতিত জমিতে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

ঘটনার পরদিন লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করা হয় শাহাদাতের মরাদেহ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টম্বর নিহতের বাবা মোকসেদ ঘরামী বাদী হয়ে মিরাজ ফকির, সেন্টু শরীফ, ফজেল শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত আসামি সেন্টু শরীফকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।আসামি শরীফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, মিনিবাস ও বাসের ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করে আত্মগোপনে ছিলেন।গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।