মাদারীপুর সদর থানার মোস্তফাপুর এলাকায় মোটরসাইকেল চালক শাহাদাত ঘরামি হত্যা মামলায় মো: সেন্টু শরীফকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। ২০১৩ সালে হত্যা মামলা দায়েরের পর জামিন নিয়ে ১০ বছর ছিলেন পলাতক। পরে রোববার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় র্যাব-২ এবং র্যাব-৮ যৌথ অভিযান চালিয়ে শরীফকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি শিহাব করিম বলেন শাহাদাত ঘরামি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রতিবেশী মিরাজ ও সেন্টু গৌরনদীর বার্থী এলাকায় যাওয়ার কথা বলে শাহাদাত ঘরামির মোটরসাইকেল ভাড়া নেন। পরে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি শেষে শাহাদাতকে নির্জন এলাকায় নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ তাদের আত্মীয় ফজেল শেখের মাধ্যমে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকি-নওহাটা এলাকার এক পতিত জমিতে ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার পরদিন লাশ দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে উদ্ধার করা হয় শাহাদাতের মরাদেহ। এই ঘটনায় ১৩ সেপ্টম্বর নিহতের বাবা মোকসেদ ঘরামী বাদী হয়ে মিরাজ ফকির, সেন্টু শরীফ, ফজেল শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো বেশ কয়েকজনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে এক বছর জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত আসামি সেন্টু শরীফকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।আসামি শরীফ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজর এড়িয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক, মিনিবাস ও বাসের ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করে আত্মগোপনে ছিলেন।গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।