ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির! নাগরিকের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আড়িয়াল বিলের শাপলায় জীবন চলে পাড়ের মানুষের

ঢাকা: বাংলাদেশে এ সময় খাল-বিল থেকে প্রচুর পরিমাণে শাপলা পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলের আলমপুরগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিলের পানিতে দিগন্তজুড়ে ফুটে রয়েছে শাপলা ফুল। বিলের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে শাপলা। আরেকটু এগিয়ে গেলেই দেখা মেলে নৌকা থেকে শাপলা গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা শাপলা ফুল থেকে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। শাপলা সংগ্রহ করে নৌকায় করে চলে যান ঘাটে। এরপর রাজধানীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।

পাশাপাশি জায়গাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকালে দলবেঁধে নৌকা নিয়ে নারী-পুরুষ চলে আসেন এই বিলে।

আজিম উদ্দিন নামে একজন শাপলা বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আলমপুরগ্রামে আড়িয়াল বিল থেকে আমরা শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় হয়, যা আমাদের সংসার চালাতে একটু সুবিধা হয়। এছাড়া বিনা পুঁজিতেই এই ব্যবসা করা যায় বলে সুবিধা বেশি। প্রতিদিন শাপলা তুলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয় বলেও জানান আজিম।

আলমপুর গ্রামের এলাকার কৃষক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, আমি মূলত কৃষিকাজ করি। বর্ষার পরও জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এই মৌসুমে কৃষি কাজ করতে পারি না, তাই এ সময়ে খাল বিল থেকেই শাপলা সংগ্রহ করি। পরে, সেগুলো বাজারে বিক্রি করে তা দিয়ে সংসার চালাই। আমাদের মতো অনেক কৃষক আছেন, যারা এ সময় বিলের শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করেন।

বর্ষায় শ্রীনগর, সিরাজদিখান মুন্সিগঞ্জ সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ও ফসলি জমি ও খাল-বিল থেকে অনেক কৃষক ও দিনমজুররা ভোর থেকে শুরু করে শাপলা তুলে তা বাজারে বিক্রি করেন।

বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে আলমপুর গ্রামে বিলের পানিতে শাপলা সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করেই অনেক পরিবারের চলে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল-বিল ও বিস্তীর্ণ জমিতে শাপলা তুলে নৌকায় করে তা বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন কৃষক ও দিনমজুররা। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন আড়্ৎ মুন্সিগঞ্জ থেকেই শাপলা কিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল

আড়িয়াল বিলের শাপলায় জীবন চলে পাড়ের মানুষের

আপডেট সময় ১১:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: বাংলাদেশে এ সময় খাল-বিল থেকে প্রচুর পরিমাণে শাপলা পাওয়া যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ।

মুন্সিগঞ্জের আড়িয়াল বিলের আলমপুরগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিলের পানিতে দিগন্তজুড়ে ফুটে রয়েছে শাপলা ফুল। বিলের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে শাপলা। আরেকটু এগিয়ে গেলেই দেখা মেলে নৌকা থেকে শাপলা গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এখানকার কৃষকরা শাপলা ফুল থেকে আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন। শাপলা সংগ্রহ করে নৌকায় করে চলে যান ঘাটে। এরপর রাজধানীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।

পাশাপাশি জায়গাটিতে বেড়েছে পর্যটকদের ভিড়। শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে সকালে দলবেঁধে নৌকা নিয়ে নারী-পুরুষ চলে আসেন এই বিলে।

আজিম উদ্দিন নামে একজন শাপলা বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আলমপুরগ্রামে আড়িয়াল বিল থেকে আমরা শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করি। এতে বাড়তি আয় হয়, যা আমাদের সংসার চালাতে একটু সুবিধা হয়। এছাড়া বিনা পুঁজিতেই এই ব্যবসা করা যায় বলে সুবিধা বেশি। প্রতিদিন শাপলা তুলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় হয় বলেও জানান আজিম।

আলমপুর গ্রামের এলাকার কৃষক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, আমি মূলত কৃষিকাজ করি। বর্ষার পরও জমিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এই মৌসুমে কৃষি কাজ করতে পারি না, তাই এ সময়ে খাল বিল থেকেই শাপলা সংগ্রহ করি। পরে, সেগুলো বাজারে বিক্রি করে তা দিয়ে সংসার চালাই। আমাদের মতো অনেক কৃষক আছেন, যারা এ সময় বিলের শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করেন।

বর্ষায় শ্রীনগর, সিরাজদিখান মুন্সিগঞ্জ সদরসহ কয়েকটি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা ও ফসলি জমি ও খাল-বিল থেকে অনেক কৃষক ও দিনমজুররা ভোর থেকে শুরু করে শাপলা তুলে তা বাজারে বিক্রি করেন।

বর্ষা মৌসুমে বিশেষ করে আলমপুর গ্রামে বিলের পানিতে শাপলা সংগ্রহ করে সেগুলো বিক্রি করেই অনেক পরিবারের চলে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল-বিল ও বিস্তীর্ণ জমিতে শাপলা তুলে নৌকায় করে তা বিভিন্ন পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন কৃষক ও দিনমজুররা। এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন আড়্ৎ মুন্সিগঞ্জ থেকেই শাপলা কিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে।