ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল কারা কমপ্লেক্স নারী কেলেঙ্কারি ঘটনায় সর্ব প্রধান কারারক্ষীর শুধু বদলী । পূজার ডিউটিতে আনসার থেকে লাখ টাকার বাণিজ্য তজুমউদ্দিন মেঘনায় জালপাতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ট্রলার ছিনতাই ভোলায় পিস্তল নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানসহ আটক-২ সনি’র নতুন ব্রাভিয়া টিভি ও আল্ট এফওয়াই টুফোর বাজারজাত শুরু সীমান্তে মিয়ানমারের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩ বিএনপি কোনো ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে না : প্রিন্স বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪০০ পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন জামায়াত নাটোরে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি সর্বহারা পার্টির!

শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, প্রতারক গ্রেফতার

শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে মো. কামরুল হাসান (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার কামরুল নকলা উপজেলার চকজানকিপুর পাটাকাটা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কানাশাখোলা বাজার এলাকা থেকে সদর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে এ প্রতারণার ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা রোববার দুপুরে কানাশাখোলা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফায়ার সার্ভিসের ভুয়া পরিচয়দানকারী প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কামরুল হাসান সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারে মেসার্স আয়াত ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড গ্যাস হাউসে গিয়ে নিজেকে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে ম্যানেজার মো. নাজমুলকে ফায়ার লাইসেন্স দেখতে বলেন। ম্যানেজার নাজমুল ফায়ার লাইসেন্সটি দেখালে কামরুল মূল লাইসেন্সটি হাতে নিয়ে এটি নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে নাজমুলের নিকট থেকে ৯০০ টাকা গ্রহণ করেন।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আ. রহিম রনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ সময় কামরুলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালককে ফোন দেন। এ সময় কামরুল হাসান নামে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসে কোন কর্মকর্তা নেই বলে জানান তিনি।

প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কানাশাখোলা বাজারের লোকজন কামরুল হাসানকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

এবিষয়ে সদর থানার এস আই মো. কামরুল হাসান বলেন, “এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মো. আ. রহিম রনি গ্রেপ্তার কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কামরুল প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার দুই শহীদের কবর যিয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এডওয়ার্ড কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মো আব্দুল আউয়াল

শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, প্রতারক গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৭:১৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

শেরপুরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তার ভুয়া পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগে মো. কামরুল হাসান (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার কামরুল নকলা উপজেলার চকজানকিপুর পাটাকাটা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কানাশাখোলা বাজার এলাকা থেকে সদর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে শেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে এ প্রতারণার ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা রোববার দুপুরে কানাশাখোলা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফায়ার সার্ভিসের ভুয়া পরিচয়দানকারী প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকতে পরামর্শ দেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কামরুল হাসান সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারে মেসার্স আয়াত ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড গ্যাস হাউসে গিয়ে নিজেকে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে ম্যানেজার মো. নাজমুলকে ফায়ার লাইসেন্স দেখতে বলেন। ম্যানেজার নাজমুল ফায়ার লাইসেন্সটি দেখালে কামরুল মূল লাইসেন্সটি হাতে নিয়ে এটি নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে নাজমুলের নিকট থেকে ৯০০ টাকা গ্রহণ করেন।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আ. রহিম রনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসেন। এ সময় কামরুলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালককে ফোন দেন। এ সময় কামরুল হাসান নামে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসে কোন কর্মকর্তা নেই বলে জানান তিনি।

প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কানাশাখোলা বাজারের লোকজন কামরুল হাসানকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

এবিষয়ে সদর থানার এস আই মো. কামরুল হাসান বলেন, “এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মো. আ. রহিম রনি গ্রেপ্তার কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কামরুল প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে