ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

আজমিরীগঞ্জে টানা অতিবৃষ্টিতে রুপা আমন ধান ও চাষকৃত পুকুর তলিয়ে যাচ্ছে, ক্ষতির মুখে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে টানা অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের রুপা আমন ধান ও মাছ চাষকৃত বিভিন্ন পুকুর । এতে চিন্তিত কৃষকরা।কৃষকরা জানান ঋণ করে, আবার কেউ ধার করে জমি রোপন করেছে ও মাছ চাষাবাদ করছে বড় আশা প্রত্যাশা নিয়ে। আজ কৃষকের মুখে হাসি নেই। হতাশায় নিমজ্জিত কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন,বদলপুর ইউনিয়ন, শিবপাশা ইউনিয়ন,কাকাইলছেও সদর ইউনিয়নের হাওরের অধিকাংশ রুপা আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকেও কৃষকদের রুপা আমন ধানের জমি তলিয়ে যাওয়ায় আহাজারির পোস্ট করতে দেখা যায়। এর মধ্যে বেশি ক্ষতির মুখে জলসুখা ও বদলপুর ইউনিয়নের কৃষক।জলসূখার আদিল মিয়া জানান আমি ও রনি দুই জন সম্মিলিত ভাবে ১৬০ খের জমি রুপন করছিলাম আমার দুই দিনের বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে এবং হাওরের মাছে ধানের চারা খাওয়া ধরেছে। আরেক জন কৃষক জানান ১০দিন আগে ধানের চারা রোপন করেছি চানপুর হাওরে সব তলিয়ে গেছে এখন চানপুর হাওরে বৃষ্টির পানি ঢেউ খেলে। তিনি বলেন, আমার কষ্টের টাকা আর দিনরাতের পরিশ্রম এখন বৃষ্টির পানিতে বেসে গেছে। অন্য আরেক কৃষক মুছা মিয়া জানান আমার অধিকাংশ জমি পানির নিচে, বৃষ্টি যদি না কমে বাকি জমি গুলো ও পানির নিচে চলে যাবে। জলসুখার শাফিল মিয়া জানান আমি ৫০খের জমি রোপন করছিলাম সব পানিতে তলিয়ে গেছে, অনেক টাকা ঋণ ও ধার এনেছি এখন আমি নিরুপায়। নোয়গড় গ্রামের হোমায়োন মিয়া জানান আমাদের গ্রামের কয়েক শত একর জমি সব তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষক পথে বসে যাবে।বদলপুর ইউনিয়নের বলদী গ্রামের কৃষক ধীরেশ দাস জানান আমি এিশ কের জমি করছি সব বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে, কৃষক সুধীর দাশ,হীরেন্দ্র দাশ জানান ঋন করে যে জমি করছি সব বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে, মৎস চাষি আকাশ তালুকদার জানান এবছর ১ম বারের মতো মাছ চাষাবাদ করছি কিন্তু বৃষ্টি পানিতে পুকুর ডুবে সব মাছ হাওরে চলে গেছে, পাহাড় পুরের এক মৎস্য চাষী সুরঞ্জিত দাস জানান আমরা তিন জন মিলে মাছ চাষাবাদ করছি কিন্তু বৃষ্টি পানিতে পুকুর ডুবে সব মাছ হাওরে চলে গেছে। এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের ৭ হাজার ৮ শত ১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে প্রায় ৩২শত ১০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বৃষ্টির পানির স্থায়িত্ব বেশি দিন না হলে রিকভারি করা হবে।আর যদি পানি দীর্ঘ স্থায়ী থাকে আমরা মাঠ পরিদর্শন করে সরকারি বিধি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ব্যবস্থা করা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আজমিরীগঞ্জে টানা অতিবৃষ্টিতে রুপা আমন ধান ও চাষকৃত পুকুর তলিয়ে যাচ্ছে, ক্ষতির মুখে কৃষক ও মৎস্য চাষিরা

আপডেট সময় ০৩:১৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে টানা অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের রুপা আমন ধান ও মাছ চাষকৃত বিভিন্ন পুকুর । এতে চিন্তিত কৃষকরা।কৃষকরা জানান ঋণ করে, আবার কেউ ধার করে জমি রোপন করেছে ও মাছ চাষাবাদ করছে বড় আশা প্রত্যাশা নিয়ে। আজ কৃষকের মুখে হাসি নেই। হতাশায় নিমজ্জিত কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা ইউনিয়ন,বদলপুর ইউনিয়ন, শিবপাশা ইউনিয়ন,কাকাইলছেও সদর ইউনিয়নের হাওরের অধিকাংশ রুপা আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকেও কৃষকদের রুপা আমন ধানের জমি তলিয়ে যাওয়ায় আহাজারির পোস্ট করতে দেখা যায়। এর মধ্যে বেশি ক্ষতির মুখে জলসুখা ও বদলপুর ইউনিয়নের কৃষক।জলসূখার আদিল মিয়া জানান আমি ও রনি দুই জন সম্মিলিত ভাবে ১৬০ খের জমি রুপন করছিলাম আমার দুই দিনের বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে এবং হাওরের মাছে ধানের চারা খাওয়া ধরেছে। আরেক জন কৃষক জানান ১০দিন আগে ধানের চারা রোপন করেছি চানপুর হাওরে সব তলিয়ে গেছে এখন চানপুর হাওরে বৃষ্টির পানি ঢেউ খেলে। তিনি বলেন, আমার কষ্টের টাকা আর দিনরাতের পরিশ্রম এখন বৃষ্টির পানিতে বেসে গেছে। অন্য আরেক কৃষক মুছা মিয়া জানান আমার অধিকাংশ জমি পানির নিচে, বৃষ্টি যদি না কমে বাকি জমি গুলো ও পানির নিচে চলে যাবে। জলসুখার শাফিল মিয়া জানান আমি ৫০খের জমি রোপন করছিলাম সব পানিতে তলিয়ে গেছে, অনেক টাকা ঋণ ও ধার এনেছি এখন আমি নিরুপায়। নোয়গড় গ্রামের হোমায়োন মিয়া জানান আমাদের গ্রামের কয়েক শত একর জমি সব তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষক পথে বসে যাবে।বদলপুর ইউনিয়নের বলদী গ্রামের কৃষক ধীরেশ দাস জানান আমি এিশ কের জমি করছি সব বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে, কৃষক সুধীর দাশ,হীরেন্দ্র দাশ জানান ঋন করে যে জমি করছি সব বৃষ্টি পানিতে তলিয়ে গেছে, মৎস চাষি আকাশ তালুকদার জানান এবছর ১ম বারের মতো মাছ চাষাবাদ করছি কিন্তু বৃষ্টি পানিতে পুকুর ডুবে সব মাছ হাওরে চলে গেছে, পাহাড় পুরের এক মৎস্য চাষী সুরঞ্জিত দাস জানান আমরা তিন জন মিলে মাছ চাষাবাদ করছি কিন্তু বৃষ্টি পানিতে পুকুর ডুবে সব মাছ হাওরে চলে গেছে। এ ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফে আল মুঈন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমনের ৭ হাজার ৮ শত ১০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে প্রায় ৩২শত ১০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি তলিয়ে গেছে। ক্ষতি গ্রস্ত কৃষকদের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বৃষ্টির পানির স্থায়িত্ব বেশি দিন না হলে রিকভারি করা হবে।আর যদি পানি দীর্ঘ স্থায়ী থাকে আমরা মাঠ পরিদর্শন করে সরকারি বিধি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ব্যবস্থা করা হবে।