ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে পূজা পালন করবে: হাফিজ ইব্রাহিম ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২ একজন মানবিক পুলিশের গল্প। রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১০ প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত আনোয়ারা থানা এলাকায় পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ । আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম । বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা

কুমিল্লায় ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

 

কুমিল্লায় ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

ডিপ্লোমা পড়ুয়া ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ভাতা আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তারা। এতে কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত শিক্ষানবিশরা অংশ নেয়। এসময় তাদের হাতে ‘আমাদের শ্রমের মূল্য দিতে হবে’ আমাদের দাবি ন্যায্য দাবি, মানতে হবে’ কর্তৃপক্ষ চুপ কেন জবাব চাই’ এমন সব প্ল্যাকার্ড ছিল।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএনএ) ইন্টার্ন শেখ ফরিদ, আশিকুর রহমান, সাকিবুর রহমান, তহুরা হামিম, শারমিন, সাজেদা, পুতুল আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে ইন্টার্ন নার্সরা জানায়, আমরা কুমিল্লা সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি” কোর্স সম্পন্ন করে সদর হাসপাতাল ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত আছি। নিয়মানুযায়ী আমরা ইন্টার্ন ভাতা পাই। কিন্তু বাস্তবে আমাদের কোন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরও জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ সব মিলিয়ে প্রতিমাসে একেক জনের ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়া শোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে খরচ করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালে ফুলটাইম ডিউটি করে বাহিরে কোথাও কাজ করারও সুযোগ থাকে না, যে কারণে আমরা কোথাও কাজও করতে পারছি না। এছাড়াও অনেক পরিবার মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, যেখানে তাদের দিনাতিপাত করাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে। সেখানে সন্তানের ইন্টার্নশিপ চলাকালীন খরচ চালানোর জন্য মাসে ৮-১০ হাজার টাকার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বেতন ভাতার বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন তারা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন

কুমিল্লায় ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

আপডেট সময় ০৫:২০:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

 

কুমিল্লায় ভাতার দাবিতে ইন্টার্ন নার্সরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

ডিপ্লোমা পড়ুয়া ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ভাতা আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি ঘোষণা করেন তারা। এতে কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত শিক্ষানবিশরা অংশ নেয়। এসময় তাদের হাতে ‘আমাদের শ্রমের মূল্য দিতে হবে’ আমাদের দাবি ন্যায্য দাবি, মানতে হবে’ কর্তৃপক্ষ চুপ কেন জবাব চাই’ এমন সব প্ল্যাকার্ড ছিল।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএনএ) ইন্টার্ন শেখ ফরিদ, আশিকুর রহমান, সাকিবুর রহমান, তহুরা হামিম, শারমিন, সাজেদা, পুতুল আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে ইন্টার্ন নার্সরা জানায়, আমরা কুমিল্লা সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে তিন বছর মেয়াদী “ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারি” কোর্স সম্পন্ন করে সদর হাসপাতাল ইন্টার্ন নার্স হিসাবে কর্মরত আছি। নিয়মানুযায়ী আমরা ইন্টার্ন ভাতা পাই। কিন্তু বাস্তবে আমাদের কোন ভাতা দেওয়া হচ্ছে না।

তারা আরও জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজার, বাসা ভাড়া, থাকা-খাওয়া, যাতায়াত, হাত খরচ সব মিলিয়ে প্রতিমাসে একেক জনের ৮-১০ হাজার টাকা খরচ হয়। পড়া শোনা শেষ করে ইন্টার্নশিপ করা অবস্থায় বাসা থেকে টাকা এনে খরচ করাটা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।

খরচ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবার হিমশিম খাচ্ছে। হাসপাতালে ফুলটাইম ডিউটি করে বাহিরে কোথাও কাজ করারও সুযোগ থাকে না, যে কারণে আমরা কোথাও কাজও করতে পারছি না। এছাড়াও অনেক পরিবার মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, যেখানে তাদের দিনাতিপাত করাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে। সেখানে সন্তানের ইন্টার্নশিপ চলাকালীন খরচ চালানোর জন্য মাসে ৮-১০ হাজার টাকার ভার বহন করাটা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বেতন ভাতার বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন তারা।