ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

সংসদ এলাকা থেকে জিয়া কবর অপসারণের দাবি

ঢাকা: বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠন। অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড দেওয়া ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে শাস্তি দাবি করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে মায়ের কান্না। এসময় সাত দফা দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বক্তারা বলেন, জেনারেল জিয়া আমাদের বাবাদের বিনা কারণে হত্যা করেছে। আমরা আমাদের বাবাদের কবর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। এমনকি কবরের পাশে গিয়ে জিয়ারত পর্যন্ত করতে পারি না। যেহেতু আমাদের বাবার কবর নেই তাহলে খুনি জিয়ার কবরও থাকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই খুনি জিয়ার যেন মরণোত্তর বিচার করা হয়। একইসঙ্গে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর যেন অপসারণ করা হয়।

এ সময় সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো- ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা; ভুক্তভোগীদের প্রত্যেককে স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র‍্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধা প্রদান; জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমান বাহিনী সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা ও কবরস্থান চিহ্নিত করে তাদের নামসহ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি; ভুক্তভোগী সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া; ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবরের ভুক্তভোগীদের তালিকা প্রকাশ; অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার এবং জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণ।

মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বক্তব্য দেন কর্পোরাল নওরেজ ডি রোজারিও, সার্জেন্ট মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, সার্জেন্ট আজিজুর রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সার্জেন্ট মো হাবিবুর রহমানের ছেলে মো সাইদুর রহমান প্রমুখ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সংসদ এলাকা থেকে জিয়া কবর অপসারণের দাবি

আপডেট সময় ০৩:২৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা: বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানিয়েছে মায়ের কান্না নামে একটি সংগঠন। অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড দেওয়া ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে শাস্তি দাবি করে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে মায়ের কান্না। এসময় সাত দফা দাবিও জানায় সংগঠনটি।

বক্তারা বলেন, জেনারেল জিয়া আমাদের বাবাদের বিনা কারণে হত্যা করেছে। আমরা আমাদের বাবাদের কবর এখন পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। এমনকি কবরের পাশে গিয়ে জিয়ারত পর্যন্ত করতে পারি না। যেহেতু আমাদের বাবার কবর নেই তাহলে খুনি জিয়ার কবরও থাকতে পারবে না। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এই খুনি জিয়ার যেন মরণোত্তর বিচার করা হয়। একইসঙ্গে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তার কবর যেন অপসারণ করা হয়।

এ সময় সাত দফা দাবি জানায় সংগঠনটি। দাবিগুলো হলো- ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্য যারা খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত হয়েছেন তাদের নির্দোষ ঘোষণা; ভুক্তভোগীদের প্রত্যেককে স্ব-স্ব পদে সর্বোচ্চ র‍্যাংকে পদোন্নতি দেখিয়ে বর্তমান স্কেলে বেতন-ভাতা ও পেনশনসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধা প্রদান; জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেনা ও বিমান বাহিনী সদস্যদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি হয়েছে তাদের শহীদ হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা ও কবরস্থান চিহ্নিত করে তাদের নামসহ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি; ভুক্তভোগী সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে তাদের পোষ্যদের যোগ্যতা অনুসারে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া; ১৯৭৭ সনের ২ অক্টোবরের ভুক্তভোগীদের তালিকা প্রকাশ; অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচার এবং জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবর অপসারণ।

মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বক্তব্য দেন কর্পোরাল নওরেজ ডি রোজারিও, সার্জেন্ট মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক, সার্জেন্ট আজিজুর রহমানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, সার্জেন্ট মো হাবিবুর রহমানের ছেলে মো সাইদুর রহমান প্রমুখ।