জামালপুরের ইসলামপুরে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় নেতাকর্মী উপস্থিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলালের সভাস্থল ত্যাগ করার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার চরপুঁটিমারী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি স্বীকার করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চরপুঁটিমারী ইউনিয়নের আইড়মারী দক্ষিণপাড়া নফছের সরকারের বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হকের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মিসভাস্থলে চেয়ার-টেবিল রাখা হয়। পুলিশ প্রটোকলে যথাসময়ে উপস্থিত হন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।
কিন্তু সেখানে নেতাকর্মী উপস্থিত না হওয়ায় কর্মিসভা করা সম্ভব হয়নি। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জামাল আবু নাছের চার্লেস চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক লাল মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ প্রমুখ।
চরপুঁটিমারী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, ‘কর্মিসভায় আমাকেও দাওয়াত দেওয়া হয়নি।
সভামঞ্চে নেতাকর্মী উপস্থিত হননি। এতে রাগারাগি করে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান প্রধান অতিথি ধর্ম প্রতিমন্ত্রী।’
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘নেতাকর্মী উপস্থিত না হওয়ায় কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্মিসভার আয়োজন করবে বলে প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।’
চরপুঁটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ‘আয়োজকরা না বলায় নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত হননি। ফলে কর্মিসভা করা সম্ভব হয়নি। এতে মন খারাপ করে ক্ষুব্ধ হয়ে সভামঞ্চ থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী চলে গেছেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও চরপুঁটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সমন্বয়কারী সালাউদ্দিন শাহ বলেন, ‘আয়োজক নেতাকর্মীদের সভার বিষয়ে তেমনটা জানাননি। নেতাকর্মীরা না আসায় সভা না করেই ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক চলে যান।’
এ বিষয়ে জানতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা ধরেননি।