ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে পূজা পালন করবে: হাফিজ ইব্রাহিম ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২ একজন মানবিক পুলিশের গল্প। রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১০ প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত আনোয়ারা থানা এলাকায় পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ । আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম । বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় : মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খান সাভার থেকে আটক

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খানকে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম খান রোকনুজ্জামান (৭২) সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানার মৃত মহব্বত আলী খানের পুত্র।

আজ রোববার দুপুর তিনটায় র‌্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি চৌকস দল গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামান (৭২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামানসহ রাজাকার বাহিনীর অন্যান্য দোসররা সাতক্ষীরা এলাকায় মুক্তিকামী মানুষের উপর নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজ করে। রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে আটককৃত আসামী খান রোকনুজ্জামান উল্লেখিত মানবতাবিরোধী কাজে সরাসরি অভিযুক্ত ছিল।

র‌্যাব বলছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে খান রোকনুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলায় ৫ জন ব্যক্তিকে গলা কেটে ও ১ জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে আটক করে নির্যাতনের মত অপরাধে জড়িত ছিল। এঘটনায় ২০১৫ সালে সাতক্ষীরায় আসামি খান রোকনুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ইং সালের ৭ আগস্ট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আটককৃত আসামি খান রোকনুজ্জামান’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত শেষে ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে আসামি খান রোকনুজ্জামান’র বিরুদ্ধে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে আটক ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) মামলা করা হয়। বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০২২ সালের ২৪ মার্চ ইং তারিখে খান রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

তাকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে আজ ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় : মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খান সাভার থেকে আটক

আপডেট সময় ০৪:৪৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অক্টোবর ২০২৩

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী খানকে সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম খান রোকনুজ্জামান (৭২) সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানার মৃত মহব্বত আলী খানের পুত্র।

আজ রোববার দুপুর তিনটায় র‌্যাব-২ এর সিনিয়র এএসপি সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি চৌকস দল গতকাল শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে ঢাকা জেলার সাভার থানা এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামান (৭২)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি আরো জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধাপরাধী খান রোকনুজ্জামানসহ রাজাকার বাহিনীর অন্যান্য দোসররা সাতক্ষীরা এলাকায় মুক্তিকামী মানুষের উপর নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজ করে। রাজাকার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য হিসেবে আটককৃত আসামী খান রোকনুজ্জামান উল্লেখিত মানবতাবিরোধী কাজে সরাসরি অভিযুক্ত ছিল।

র‌্যাব বলছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে নিয়ে খান রোকনুজ্জামান সাতক্ষীরা জেলায় ৫ জন ব্যক্তিকে গলা কেটে ও ১ জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ ও ১৪ জনকে আটক করে নির্যাতনের মত অপরাধে জড়িত ছিল। এঘটনায় ২০১৫ সালে সাতক্ষীরায় আসামি খান রোকনুজ্জামান এর বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা-গণহত্যাসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ইং সালের ৭ আগস্ট তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আটককৃত আসামি খান রোকনুজ্জামান’র বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত শেষে ১৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যের প্রেক্ষিতে আসামি খান রোকনুজ্জামান’র বিরুদ্ধে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে আটক ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক একটি মামলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) মামলা করা হয়। বিজ্ঞ ট্রাইব্যুনাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামীর বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২০২২ সালের ২৪ মার্চ ইং তারিখে খান রোকনুজ্জামানকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

তাকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে আজ ঢাকার বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।