ঢাকা ০২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে পূজা পালন করবে: হাফিজ ইব্রাহিম ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২ একজন মানবিক পুলিশের গল্প। রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১০ প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত আনোয়ারা থানা এলাকায় পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ । আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম । বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা

যোগ্যতা-অযোগ্যতার মাপকাঠি না থাকায় হরহামেশা যেমন কথিত সংবাদ মাধ্যম গড়ে উঠছে,

মানুষ যেখানে ভাবনা শেষ করে, সেখান থেকে একজন সাংবাদিক ভাবতে শুরু করে আর আমরা এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বপরি

এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিনীত ও আন্তরিকভাবে আমার সাংবাদিক সহকর্মীদের অনুপ্রাণিত করা, যেন তারা তাদের কাজে, হৃদয়ে ও মননে আত্মবিশ্লেষণ করে, প্রশ্ন করে ও অনুসন্ধান করে যে কোথায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সমাপ্তি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক সাংবাদিকতার শুরু হচ্ছে।

অন্যের দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের কাছে যে প্রশ্নটি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেও প্রাণপ্রিয় যে পেশাটিতে আমরা আছি, সেটি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিদিন এই পরিমাণ প্রতিবেদন তৈরি করতে তথ্য সংগ্রহ, লেখা, সম্পাদনা করা, পেজ সেটিং, ছবি তোলা ও সংযোজন, ক্যাপশন লেখা, অডিও রেকর্ডিং, ভিডিও ধারণসহ পর্বতসম কাজ করতে হয়, আমাদের সাংবাদিক সহকর্মীদের এ ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দিতে হবে যে তাদের ভুলের সংখ্যা খুবই কম।

‘মানুষ মাত্রই ভুল করে’—প্রবাদটি সত্য হলে, নির্ভুল থাকার যত চেষ্টাই করি না কেন, আমাদেরও ভুল হতেই পারে, তাই, এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।কোনো সাংবাদিককে তো নয়ই, দেশের কোনো নাগরিককে ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করার মতো অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট ও পক্ষপাতদুষ্ট কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার বা মামলা করা যাবে না—এই দাবিতে সকলে একাত্ম হয়ে আওয়াজ তোলা,আইন কখনো অস্পষ্ট হতে পারে না।

আইন হবে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট এবং সেখানে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকতে পারে না, অন্যথায় সেটি আর আইন থাকে না,সেটি পরিণত হয় হয়রানি ও শোষণের হাতিয়ারে। ঠিক যেমনটি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রে।
একজন রাজনীতিবিদের দৃষ্টিতে যেটি ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে’, সেটি একজন সাংবাদিকের কাছে ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ হতে পারে।

কেউ চাইলেই দাবি করতে পারে যে বঙ্গবাজারের আগুন, সড়ক দুর্ঘটনা, ওষুধে ভেজাল, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, নদী দখল, পানিতে আর্সেনিক, লাগামহীন দুর্নীতি, বেশিরভাগ বাস-ট্রাক চালকের ভুয়া লাইসেন্স, যানবাহনের ফিটনেস সনদ না থাকা—এসব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাহলে কি এসব বিষয়ে প্রতিবেদন করা মানেই দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা? সাংবাদিক হিসেবে যদি এসব বিষয়ের জনগুরুত্ব বুঝতেই না পারি, তাহলে কেন এসেছি সাংবাদিকতা পেশায়,আমার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী সাংবাদিক সহকর্মীরাই ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবেন,মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা।

আমি নির্দ্বিধায় এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, সবচেয়ে মহান পেশাগুলোর মধ্যে সাংবাদিকতা অন্যতম,একটি সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক, গণতান্ত্রিক, ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নের জন্য শিক্ষা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সাংবাদিকতা,প্রশাসনের জবাবদিহির জন্যও সাংবাদিকতা প্রয়োজন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, স্বাধীনতার পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে একটি সমাজে মুক্ত সাংবাদিকতা প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ের সাংবাদিকেরা পেশাদার কি না সেটাও একটা প্রশ্ন, পেশাদার সাংবাদিক তার পেশাতেই নিমগ্ন থাকবেন, কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইলের খবরও দেখা যাচ্ছে, তাদের হয়তো সাংবাদিকতা পেশায় মন ভরছে না, তাই চাঁদাবাজ হওয়ার চেষ্টা করেন।

অবশ্য ইদানীংকার সাংবাদিকেরা সব কিছুই হতে চায়,কেউ বই লিখে লেখক হয়ে যায়, কেউ নাটক বানিয়ে প্রযোজক হয়ে যায়,আবার কেউ কেউ তো ব্লগ/ফেসবুকে গল্প-কবিতা-ছোটগল্প লিখে ব্লগার/রাইটার, ছবি তুলে ফটোগ্রাফার হয়ে যায়।

আগের প্রজন্মের সাংবাদিকেরা সমাজের অসংগতি তুলে ধরতেন, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সরব থাকতেন, পক্ষপাতমূলক আচরন একটু কম ছিলো, এখন তো পত্রিকার মালিক ভয়ংকর অপরাধ করলেও সেই নিউজ ছাপানো হয় না, বরং তার গুনগান গেয়ে নিউজ করা হয়,আগের দিনে সমাজের প্রভাবশালীগন লাঠিয়াল পুষতেন, এখন পোষেন সাংবাদিক।

কিন্তু সেই তথ্য যদি সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়, তাহলে তা প্রকাশ করাই সাংবাদিকতার কাজ আর যদি তথ্যকে বিকৃত করে, রং মিশিয়ে প্রকাশ করা হয়, তথ্য যদি হয় পক্ষপাতপূর্ণ সে ক্ষেত্রে সেটি ‘অপসাংবাদিকতা’।

পেশার এ সংকটের মধ্যে দিয়ে একটি সুবিধাভোগী, লাঠিয়াল, দুর্নীতিবাজ ও ধান্ধাবাজ শ্রেণি গড়ে উঠছে,যাদের যাঁতাকলে মূলত বারোটা বেজে গেছে, একটু সাদা চোখে এদেশের সাংবাদিকতার পুরনো ইতিহাস ঘেটে দেখা যাবে, মূলত: সমাজের শিক্ষিত, ভদ্র, মেধাবী, সৎ ও আদর্শিক মানুষেরাই এই পেশায় যুক্ত হতেন।

যাদের সিংহভাগ ছিলেন শিক্ষক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ও মেধাবী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ,কিন্তু দিন দিন সেই অবস্থা থেকে সাংবাদিকতা সরে এসেছে,এখানে কাউকে ছোট করছি না,এখন ভ্যান-রিক্সা, ইজিবাইক, বাস, ট্রাক মালিক, শ্রমিক, ড্রাইভার, মাছ ব্যবসায়ী, চা-পান-বিড়ির দোকানদারও এ পেশায় দাপট দেখাচ্ছেন।

আবার তথ্য-প্রযুক্তি প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেতো সাংবাদিকদের সত্যিকার পরিসংখ্যান বের করা খুব কঠিন,সত্য-মিথ্যা তথ্যের আড়ালে চলছে নানা প্রতারণা-হযরানি,কোন কোন ক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতার নামে নীতি-নৈতিকতার মাথা খেয়ে চলে চরিত্রহরণের মহাৎসব।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডক্টর সিরিয়াল ডট কম অ্যাপের উদ্বোধন

যোগ্যতা-অযোগ্যতার মাপকাঠি না থাকায় হরহামেশা যেমন কথিত সংবাদ মাধ্যম গড়ে উঠছে,

আপডেট সময় ০৯:৫২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানুষ যেখানে ভাবনা শেষ করে, সেখান থেকে একজন সাংবাদিক ভাবতে শুরু করে আর আমরা এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সর্বপরি

এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বিনীত ও আন্তরিকভাবে আমার সাংবাদিক সহকর্মীদের অনুপ্রাণিত করা, যেন তারা তাদের কাজে, হৃদয়ে ও মননে আত্মবিশ্লেষণ করে, প্রশ্ন করে ও অনুসন্ধান করে যে কোথায় বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সমাপ্তি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক সাংবাদিকতার শুরু হচ্ছে।

অন্যের দিকে আঙুল না তুলে নিজেদের কাছে যে প্রশ্নটি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, নিজেদের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলেও প্রাণপ্রিয় যে পেশাটিতে আমরা আছি, সেটি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিদিন এই পরিমাণ প্রতিবেদন তৈরি করতে তথ্য সংগ্রহ, লেখা, সম্পাদনা করা, পেজ সেটিং, ছবি তোলা ও সংযোজন, ক্যাপশন লেখা, অডিও রেকর্ডিং, ভিডিও ধারণসহ পর্বতসম কাজ করতে হয়, আমাদের সাংবাদিক সহকর্মীদের এ ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দিতে হবে যে তাদের ভুলের সংখ্যা খুবই কম।

‘মানুষ মাত্রই ভুল করে’—প্রবাদটি সত্য হলে, নির্ভুল থাকার যত চেষ্টাই করি না কেন, আমাদেরও ভুল হতেই পারে, তাই, এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।কোনো সাংবাদিককে তো নয়ই, দেশের কোনো নাগরিককে ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করার মতো অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট ও পক্ষপাতদুষ্ট কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তার বা মামলা করা যাবে না—এই দাবিতে সকলে একাত্ম হয়ে আওয়াজ তোলা,আইন কখনো অস্পষ্ট হতে পারে না।

আইন হবে সুস্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট এবং সেখানে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকতে পারে না, অন্যথায় সেটি আর আইন থাকে না,সেটি পরিণত হয় হয়রানি ও শোষণের হাতিয়ারে। ঠিক যেমনটি হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষেত্রে।
একজন রাজনীতিবিদের দৃষ্টিতে যেটি ‘ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে’, সেটি একজন সাংবাদিকের কাছে ‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’ হতে পারে।

কেউ চাইলেই দাবি করতে পারে যে বঙ্গবাজারের আগুন, সড়ক দুর্ঘটনা, ওষুধে ভেজাল, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, নদী দখল, পানিতে আর্সেনিক, লাগামহীন দুর্নীতি, বেশিরভাগ বাস-ট্রাক চালকের ভুয়া লাইসেন্স, যানবাহনের ফিটনেস সনদ না থাকা—এসব বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করলে তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

তাহলে কি এসব বিষয়ে প্রতিবেদন করা মানেই দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করা, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা? সাংবাদিক হিসেবে যদি এসব বিষয়ের জনগুরুত্ব বুঝতেই না পারি, তাহলে কেন এসেছি সাংবাদিকতা পেশায়,আমার চেয়ে অপেক্ষাকৃত কমবয়সী সাংবাদিক সহকর্মীরাই ভবিষ্যতের মুখোমুখি হবেন,মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা।

আমি নির্দ্বিধায় এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, সবচেয়ে মহান পেশাগুলোর মধ্যে সাংবাদিকতা অন্যতম,একটি সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক, গণতান্ত্রিক, ন্যায়পরায়ণ ও ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নের জন্য শিক্ষা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সাংবাদিকতা,প্রশাসনের জবাবদিহির জন্যও সাংবাদিকতা প্রয়োজন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, স্বাধীনতার পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে একটি সমাজে মুক্ত সাংবাদিকতা প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ের সাংবাদিকেরা পেশাদার কি না সেটাও একটা প্রশ্ন, পেশাদার সাংবাদিক তার পেশাতেই নিমগ্ন থাকবেন, কিন্তু বর্তমানে সাংবাদিকদের চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইলের খবরও দেখা যাচ্ছে, তাদের হয়তো সাংবাদিকতা পেশায় মন ভরছে না, তাই চাঁদাবাজ হওয়ার চেষ্টা করেন।

অবশ্য ইদানীংকার সাংবাদিকেরা সব কিছুই হতে চায়,কেউ বই লিখে লেখক হয়ে যায়, কেউ নাটক বানিয়ে প্রযোজক হয়ে যায়,আবার কেউ কেউ তো ব্লগ/ফেসবুকে গল্প-কবিতা-ছোটগল্প লিখে ব্লগার/রাইটার, ছবি তুলে ফটোগ্রাফার হয়ে যায়।

আগের প্রজন্মের সাংবাদিকেরা সমাজের অসংগতি তুলে ধরতেন, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সরব থাকতেন, পক্ষপাতমূলক আচরন একটু কম ছিলো, এখন তো পত্রিকার মালিক ভয়ংকর অপরাধ করলেও সেই নিউজ ছাপানো হয় না, বরং তার গুনগান গেয়ে নিউজ করা হয়,আগের দিনে সমাজের প্রভাবশালীগন লাঠিয়াল পুষতেন, এখন পোষেন সাংবাদিক।

কিন্তু সেই তথ্য যদি সঠিক এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়, তাহলে তা প্রকাশ করাই সাংবাদিকতার কাজ আর যদি তথ্যকে বিকৃত করে, রং মিশিয়ে প্রকাশ করা হয়, তথ্য যদি হয় পক্ষপাতপূর্ণ সে ক্ষেত্রে সেটি ‘অপসাংবাদিকতা’।

পেশার এ সংকটের মধ্যে দিয়ে একটি সুবিধাভোগী, লাঠিয়াল, দুর্নীতিবাজ ও ধান্ধাবাজ শ্রেণি গড়ে উঠছে,যাদের যাঁতাকলে মূলত বারোটা বেজে গেছে, একটু সাদা চোখে এদেশের সাংবাদিকতার পুরনো ইতিহাস ঘেটে দেখা যাবে, মূলত: সমাজের শিক্ষিত, ভদ্র, মেধাবী, সৎ ও আদর্শিক মানুষেরাই এই পেশায় যুক্ত হতেন।

যাদের সিংহভাগ ছিলেন শিক্ষক, আইনজীবী, সাংস্কৃতিক ও মেধাবী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ,কিন্তু দিন দিন সেই অবস্থা থেকে সাংবাদিকতা সরে এসেছে,এখানে কাউকে ছোট করছি না,এখন ভ্যান-রিক্সা, ইজিবাইক, বাস, ট্রাক মালিক, শ্রমিক, ড্রাইভার, মাছ ব্যবসায়ী, চা-পান-বিড়ির দোকানদারও এ পেশায় দাপট দেখাচ্ছেন।

আবার তথ্য-প্রযুক্তি প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়া দেখলেতো সাংবাদিকদের সত্যিকার পরিসংখ্যান বের করা খুব কঠিন,সত্য-মিথ্যা তথ্যের আড়ালে চলছে নানা প্রতারণা-হযরানি,কোন কোন ক্ষেত্রে বাক স্বাধীনতার নামে নীতি-নৈতিকতার মাথা খেয়ে চলে চরিত্রহরণের মহাৎসব।