নাটোরের সিংড়ায় মায়ের হাতের খাবার খেয়ে দুইবোনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে মায়ের হাতের খাওয়া -দাওয়ার শেষে রাত এগারোটার দিকে দুই মেয়ের পেট ব্যথা ও বমি অনুভব করলে তাদের চিকিৎসার জন্য নন্দিগ্রাম উপজেলার বিজরুল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করলে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে মোছাঃ ফীমা (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ও ছোট বোন ফারিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহঃস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে ছোট বোন ফারিয়া ও মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতরা দুই বোন হলেন,
উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের মালোশিয়া প্রবাসী মোঃ নাজিম উদ্দীন পিতা রুহুল আমিন এর মেয়ে মোছাঃ ফীমা খাতুন ও মোছাঃ ফারিয়া খাতুন।
রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন,খাবারে হয়তো টিকটিকির প্রসাব-পায়খানা পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, প্রবাসী নাজিম হোসেনের দুই মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহজনক,তাদের মা হয়তো বিষ মেশানো খাবার খাওয়াইয়া তাদের হত্যা করেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, সিংড়া উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের মালকুড় এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মোঃ নাজিম উদ্দিনের দুই মেয়ে রাতে পড়াশোনা করছিলেন। এসময় তাদের মা রান্না করা ভাত ও টাকি মাছে ভর্তা দিয়ে তাদের রাতে খাবার দেন। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারা দুই বোন সুয়েছিল। এসময় হঠ্যৎ দুইজনই বমি করতে থাকে।
একপর্যায়ে বেশি হলে তাদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পথে বড় মেয়ে মোছা. ফীমা খাতুন (১৫) মৃত্যু হয়। পরে ছোট মেয়ে ফারিয়ার (৯) নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, খাবারে বিষক্রিয়া মাধ্যমে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।