ঢাকা ০৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২ একজন মানবিক পুলিশের গল্প। রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১০ প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত আনোয়ারা থানা এলাকায় পাওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় সনাক্ত করলো পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা। সাতকানিয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা মতলব দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতা ও বিকাশ এজেন্টের মালিক আজাদের বিরুদ্ধে জোর করে জমির দলিল নিয়ে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ । আশুলিয়ায় লতিফ মন্ডল ও আক্কাস আলী মন্ডল মূর্তি মান আতংকের নাম । বাঁশখালীর সাবেক এমপি মোস্তাফিজসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের উপর হামলা অতর্কিত হামলায় শিকার পৌরসভার হিসাবরক্ষক এ ঘটনায় থানায় মামলা

মিরপুরের শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা আটক

রাজধানী মিরপুর থেকে তালিকাভুক্ত এক শীর্ষ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতের নাম মুক্তা বেগম (৪০)। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।

আজ সোমবার ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ১০ নং সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মিরপুর মডেল থানা পুলিশ জানান, বিউটি পার্লারে সেজে ছিনতাই করেন মুক্তা। কেউ যাতে তাকে চিনতে না পারে সে জন্য সে ছিনতাইয়ের আগে পার্লারে গিয়ে সেজেগোজ করে কাজে নামতো। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের মোবাইল ও ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোক এসে তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্হু পৌছে মুক্তা বেগমকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানান, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান।
গ্রেফতার মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার গ্রেফতারও হন। তিনি প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সাথে থেকেই টুকটাক চুরি শেখে চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পরলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সাথে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। বিউটি পার্লারের সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না তাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুক্তা বেগম বেশ কিছু দিন যাবত মিরপুর এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় ছিনতাই করে যাচ্ছিল মুক্তা বেগম।
তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধজালসহ আটক-২

মিরপুরের শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা আটক

আপডেট সময় ১১:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানী মিরপুর থেকে তালিকাভুক্ত এক শীর্ষ নারী ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃতের নাম মুক্তা বেগম (৪০)। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছিল।

আজ সোমবার ডিএমপির মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ১০ নং সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মিরপুর মডেল থানা পুলিশ জানান, বিউটি পার্লারে সেজে ছিনতাই করেন মুক্তা। কেউ যাতে তাকে চিনতে না পারে সে জন্য সে ছিনতাইয়ের আগে পার্লারে গিয়ে সেজেগোজ করে কাজে নামতো। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে একই কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের মোবাইল ও ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। কিন্তু মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোক এসে তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্হু পৌছে মুক্তা বেগমকে গ্রেফতার করে।

তিনি আরো জানান, মুক্তা মার্কেটে গিয়ে কোন মেয়ের সাথে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন, এরপর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান।
গ্রেফতার মুক্তা তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৭ টি মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ৭ বার গ্রেফতারও হন। তিনি প্রথম তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সাথে থেকেই টুকটাক চুরি শেখে চুরি করতেন। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পরলে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সাথে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন।

ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। বিউটি পার্লারের সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না তাকে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মুক্তা বেগম বেশ কিছু দিন যাবত মিরপুর এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় ছিনতাই করে যাচ্ছিল মুক্তা বেগম।
তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে।