ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হলেন কাউন্সিলর রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন যে সকল সরকারি কর্মকর্তাগন মুরাদনগরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা তৈরী হতে চলেছে উন্নতমানের বাংলাদেশী ড্রোন কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশী নাগরিক আটক বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা! হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

গভীর রাতে দম্পতিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কামালপুর গ্রামের মৃত সলু মিয়ার ছেলে নাছির মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী আলপিনা বেগম(২৫)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, কামালপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে আতাবুর (২৮) এই নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সে সম্পর্কে ভিকটিম নাছিরের চাচাতো ভাই। দীর্ঘ দিন ধরে নাছির ও তার বউয়ের প্রতি তার ক্ষোভ দেখা গেছে। আগেও একবার তাদের উপর আক্রমণ করেছে। আমরা তাকে বুঝিয়েছি এবং সামাজিক ভাবে শেষ করেছি। কিন্তু গত রাত আনুমানিক ৩টায় সবাই যখন ঘুমে ছিলো তখন নাছিরের ঘরে ঢুকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। তখন তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন বিপ্লব জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নাছির ও তার স্ত্রী মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে দম্পতি।

এবিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তবে কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির

গভীর রাতে দম্পতিকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম

আপডেট সময় ০২:০৬:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, কামালপুর গ্রামের মৃত সলু মিয়ার ছেলে নাছির মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী আলপিনা বেগম(২৫)।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজিনুর মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, কামালপুর গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে আতাবুর (২৮) এই নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সে সম্পর্কে ভিকটিম নাছিরের চাচাতো ভাই। দীর্ঘ দিন ধরে নাছির ও তার বউয়ের প্রতি তার ক্ষোভ দেখা গেছে। আগেও একবার তাদের উপর আক্রমণ করেছে। আমরা তাকে বুঝিয়েছি এবং সামাজিক ভাবে শেষ করেছি। কিন্তু গত রাত আনুমানিক ৩টায় সবাই যখন ঘুমে ছিলো তখন নাছিরের ঘরে ঢুকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। তখন তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মহিউদ্দিন বিপ্লব জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নাছির ও তার স্ত্রী মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে দম্পতিকে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে দম্পতি।

এবিষয়ে তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, দম্পতিকে কুপিয়ে জখম করার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তবে কেউ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।