ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশীদ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা হলেন কাউন্সিলর রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন যে সকল সরকারি কর্মকর্তাগন মুরাদনগরে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান: ৭ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা তৈরী হতে চলেছে উন্নতমানের বাংলাদেশী ড্রোন কুমিল্লার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে বাংলাদেশী নাগরিক আটক বিগত সময়ে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা জালিয়াতি .বলেছেন প্রবাসী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন। বেসিক ব্যাংকে টেন্ডার সিন্ডিকেটে গোপালগঞ্জের ভূত সক্রিয়, মানছে না হাইকোর্টের নির্দেশনা! হাসিনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেনি সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তৈরী হতে চলেছে উন্নতমানের বাংলাদেশী ড্রোন

বিশ্বজুড়ে বহুল পরিচিত মনুষ্যবিহীন আকাশযান হলো ড্রোন। সাধারণত বাণিজ্যিক ও সেবামূলক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনগুলো সারাবিশ্বে আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল বা ইউএভি নামে পরিচিত। প্রথমবারের মত বাণিজ্যিকভাবে ইউএভি তৈরির জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্কাই বিজ লিমিটেড নামক একটি কোম্পানি।

চুক্তি মোতাবেক, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় দুই একর জমিতে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই, কারখানা তৈরি ও ড্রোন উৎপাদন শুরু করতে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।

ফিক্সড ও রোটারি উইং-এর মোট ১০ দশটি মডেলের ইউএভি তৈরি করবে কোম্পানিটি। এগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন পেলোড ও এনডোরেন্স থাকবে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই দুটি মডেলের উৎপাদন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি অগ্নিনির্বাপনের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রোটারি উইং ইউএভি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসাথে সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং ও সার্ভিলেন্স উপযোগী ফিক্সড উইং বা ভিটলও বানানো হবে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের তৈরি ড্রোন কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে, অগ্নিনির্বাপন, পণ্য সরবরাহ, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে।

কারখানাটি পুরোপুরি চালু হলে এখান থেকে বছরে বিভিন্ন মডেলের ৭ হাজার ৩১৪টি ইউএভি উৎপাদিত হবে। এগুলো রপ্তানি করার মাধ্যমে বার্ষিক আয় হবে প্রায় ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বহির্বিশ্বে এসব ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্কাই বিজের সবকয়টি মডেলের ডিজাইন, সফটওয়্যার, ফ্লাইট কন্ট্রোল তাদের নিজেদেরই উদ্ভাবিত; যদিও যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আপাতত আমদানি করতে হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে এগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অসীম সাহসিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করতে হবে : জামায়াতের নায়েবে আমির

তৈরী হতে চলেছে উন্নতমানের বাংলাদেশী ড্রোন

আপডেট সময় ০৭:১১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪

বিশ্বজুড়ে বহুল পরিচিত মনুষ্যবিহীন আকাশযান হলো ড্রোন। সাধারণত বাণিজ্যিক ও সেবামূলক কাজে ব্যবহৃত ড্রোনগুলো সারাবিশ্বে আনম্যান্ড এরিয়াল ভেহিকেল বা ইউএভি নামে পরিচিত। প্রথমবারের মত বাণিজ্যিকভাবে ইউএভি তৈরির জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা) কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্কাই বিজ লিমিটেড নামক একটি কোম্পানি।

চুক্তি মোতাবেক, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় দুই একর জমিতে কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই, কারখানা তৈরি ও ড্রোন উৎপাদন শুরু করতে প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।

ফিক্সড ও রোটারি উইং-এর মোট ১০ দশটি মডেলের ইউএভি তৈরি করবে কোম্পানিটি। এগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন পেলোড ও এনডোরেন্স থাকবে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই দুটি মডেলের উৎপাদন শুরু হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি অগ্নিনির্বাপনের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রোটারি উইং ইউএভি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসাথে সিনেমাটোগ্রাফি, ম্যাপিং ও সার্ভিলেন্স উপযোগী ফিক্সড উইং বা ভিটলও বানানো হবে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের তৈরি ড্রোন কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশক স্প্রে, অগ্নিনির্বাপন, পণ্য সরবরাহ, দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা প্রভৃতি সেবামূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে।

কারখানাটি পুরোপুরি চালু হলে এখান থেকে বছরে বিভিন্ন মডেলের ৭ হাজার ৩১৪টি ইউএভি উৎপাদিত হবে। এগুলো রপ্তানি করার মাধ্যমে বার্ষিক আয় হবে প্রায় ১৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বহির্বিশ্বে এসব ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্কাই বিজের সবকয়টি মডেলের ডিজাইন, সফটওয়্যার, ফ্লাইট কন্ট্রোল তাদের নিজেদেরই উদ্ভাবিত; যদিও যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আপাতত আমদানি করতে হচ্ছে। তবে পর্যায়ক্রমে এগুলো স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।