আর্থিক অভাব অনটন থেকে মুক্তি ও দারিদ্রকে দূর করার জন্য কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সৌদি আরব যান শিপাইন কবির তারেক (৩০) নামে এক যুবক। সে তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল নতুনহাটি গ্রামের লুৎফুর রহমানের বড় ছেলে।
গেলো ৪ মাস ধরে বিদেশ যাওয়া এই যুবকের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই তার স্বজনদের। ছেলেকে উদ্ধার ও প্রতারকের হাতিয়ে নেওয়া টাকা ফেরত পেতে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন তার বাবা লুৎফুর রহমান।
এঘটনায় এজাহারে আসামী করা হয়েছে উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের গাজিপুর গ্রামের মৃত নুর মিয়ার ছেলে তৌফিক হাসান শ্যামল (৩৫)। একই গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে শহিদ মাষ্টার (৫০) ও উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের জুয়েল মিয়া (৩০) কে।
নিখোঁজ তারেকের বাবা লুৎফুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেন, বিবাদী তৌফিক হাসান শ্যামল আনুমানিক ৮মাস পূর্বে আমার ছেলে শিপাইন কবির তারেককে সৌদি আরব রাষ্ট্রে নিয়ে টিস্যু কম্পানীতে ৫০হাজার টাকা বেতনে চাকুরী দেয়ার কথায় ৫লক্ষ ৫০হাজার টাকা গ্রহণ করে। এসময় কথা ছিল আমার ছেলেকে সৌদি আরব পৌঁছানোর সাথে সাথে বিবাদীর লোকজন তাকে রিসিভ করবে। কিন্তু পৌঁছানোর আট ঘণ্টা পর তারা রিসিভ করে। প্রথম মাঝেমধ্যে কয়দিন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছে। কথা মতো কাজকাম না দিয়ে তাকে অনেক কষ্টে রেখেছে। ঠিক মতো খাবার খেতেও দেওয়া হয়না বলে জানিয়েছিলো তারেক। এরপর চার মাস যাবৎ তার সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারিনি।
তিনি আরোও উল্লেখ করেন, বিদেশে আমার ছেলে কিছুই চিনে না। তৌফিক আমাদের সরল বিশ্বাসের উপর বেঈমানী করেছে। এখন পর্যন্ত আমার ছেলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এবিষয়ে বিবাদী তৌফিকের সাথে আমার ছেলের খোঁজখবর জানতে চাইলে, সে যোগাযোগ করিয়ে দেবে বলে দিন পাড় করছে।
তাই আমরা আদালতে অভিযোগ দিয়েছি। আমার ছেলেকে উদ্ধার ও আমার কাছ থেকে নেওয়া ৫ লক্ষ ৫০হাজার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য। আমার ছেলের কি অবস্থা আমরা জানিনা।
এ ব্যপারে জানতে অভিযুক্ত তৌফিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।