শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নদী শাসনের বেড়িবাঁধ প্রকল্প একনেকে পাস হওয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখের আয়োজন করে স্থানীয় জনগণ। এলাকাবাসীর অনেক দিনের আশা আকাঙ্খা লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১৭ বছর যাবৎ নদী ভাঙ্গনের কবলিত ও আশঙ্কার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করে আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। বছরের পর বছর বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি ও ভিটে মাটি।
বর্ষার মৌসুম শুরু হতেই যেনো পদ্মানদী ফিরে পায় তার যৌবনের রুপ, আর শুরু হতে থাকে তীব্র শ্রোতে নদী ভাঙ্গন। পদ্মানদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ গুলো বর্ষা শুরু হলেই আতঙ্কের মধ্যে পরে যায়, হঠাৎ ভাঙ্গনের ফলে বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফসলি জমি ভেসে যায় চোখের সামনে পদ্মার ঢেউয়ের সাথে সাথে, ক্ষতি হয়ে যায় হাজার হাজার টাকা এবং হারাতে বাপ-দাদার ভিটা।
অবশেষে দীর্ঘ আশ্বাসের সময় পেরিয়ে নদীর শাসনের বেড়িবাঁধ প্রকল্পটি একনেকে পাস হলো। আজকের এই আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রহমান হাওলাদার। তিনি বলেন দীর্ঘ দিনের আকাঙ্খা ও ভোগান্তির থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছি আমরা জাজিরাবাসী আর প্রকল্পটির জাতীয় নির্বাচনের আগেই কাজ শুরু হবে। আরও উপস্থিত ছিলেন বেড়িবাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে বারবার পরিশ্রম করা স্থানীয় যুবক সেন্টু মিয়া এবং স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ কর্মীরা।
নদী কবলিত এলাকাবাসী বেড়িবাঁধ একনেকে পাস হওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানান, প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সাথে আরও ধন্যবাদ জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুকে। স্থানীয় জনগণের দাবি একটাই, বেড়িবাঁধ এর কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা হোক।