ভোলার তজুমদ্দিনের চাঁচড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এর মতিউর রহমান বেপারী বাড়ির শাহজাহান ও নাছিমা বেগমের ছেলে মো. নাসিম হোসেন।
মাতৃগর্ভ থেকেই সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুটি পা জন্ম থেকেই অকেজো। সে নিজে নিজে চলতে পারেনা। অন্যের সহযোগিতা নিয়ে চলতে হয় সিয়ামের কিন্তু শারীরিক সমস্যা তার পড়াশোনায় বাঁধা হতে পারেনি। ছোটো বেলা থেকে ই সিয়াম অতন্ত্য মেধাবী।
সিয়ামের বাবা একজন গার্মেন্টস কর্মী। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এদের মধ্যে এক মেয়ে এবং সিয়াম শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী। তাদের সংসারে নুন আনতে পানতা পুরায় এমতাবস্থায় থেমে নেই সিয়ামের পড়াশোনা।
অধম্য সিয়াম বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালে ধলীগৌরনগর ডিগ্রি কলেজ থেকে এস এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে জিপিএ ৪.৫৬ অর্জন করে। বর্তমানে সিয়াম একই কলেজ থেকে এইচ এস সি
(ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছে লালমোহন বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
সিয়ামের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে সিয়ামের মা কান্না জড়িত কন্ঠে তার ছেলের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি প্রতিনিধির কাছে। সিয়ামকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনতে তার মায়ের অনেক কষ্ট করতে হয়। সিয়ামকে কাদে করে তার বহন করে তার মা।
সিয়ামের কলেজর অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র পরিদর্শক মো. আকবর হোসেন জানান, সিয়াম হোসেন তার কলেজের একজন নিয়মিত ছাত্র এবং সিয়াম অতন্ত্য মেধাবী ছাত্র। সিয়ামের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সিয়ামের পড়াশোনার যাবতীয় খরচ তার কলেজ থেকে বহন করা হয়।