ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

রাজধানীতে নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণ: প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৩

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক নারী যুগ্ম কমিশনারকে (৪৯) অপহরণের পর নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার দিনগত রাতে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি দল।

শনিবার (২৬ আগস্ট) র‌্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফেরার সময় যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ওই নারী কর কর্মকর্তার মাইক্রোবাস থামিয়ে কয়েকজন মিলে চালককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করা হয়।

এরপর ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন দুপুর ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ও তিন অপহরণকারীকে আটক করে।

যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার একটি পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। আগস্ট মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

ওই নারী কর কর্মকর্তা বলেন, অপহরণকারীরা তার কাছে কোনো মুক্তিপণ চায়নি। অপহরণকারীদের মধ্যে শুধু মাসুদকে তিনি চিনতে পেরেছেন। ২০-২৫ দিন কাজ করার পর তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন। অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনের সময় মাসুদ বারবার তাকে চাকরিচ্যুত করার কারণে ক্ষোভের কথাই বলছিলেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি

রাজধানীতে নারী কর কর্মকর্তাকে অপহরণ: প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৩

আপডেট সময় ০৫:৪০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক নারী যুগ্ম কমিশনারকে (৪৯) অপহরণের পর নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শুক্রবার দিনগত রাতে তাদের গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি দল।

শনিবার (২৬ আগস্ট) র‌্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে, গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফেরার সময় যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ওই নারী কর কর্মকর্তার মাইক্রোবাস থামিয়ে কয়েকজন মিলে চালককে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ ওই নারীকে অপহরণ করা হয়।

এরপর ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন দুপুর ২টার দিকে ওই নারী কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ও তিন অপহরণকারীকে আটক করে।

যখন ওই নারী কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার একটি পা ভাঙা, চোখে ও মাথায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ঢাকার রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদ নামের এক ব্যক্তিকে, যিনি জুলাই মাসে ওই নারীর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। আগস্ট মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

ওই নারী কর কর্মকর্তা বলেন, অপহরণকারীরা তার কাছে কোনো মুক্তিপণ চায়নি। অপহরণকারীদের মধ্যে শুধু মাসুদকে তিনি চিনতে পেরেছেন। ২০-২৫ দিন কাজ করার পর তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন। অপহরণের পর নির্মম নির্যাতনের সময় মাসুদ বারবার তাকে চাকরিচ্যুত করার কারণে ক্ষোভের কথাই বলছিলেন।