গতকাল রাতে কদমতলী থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে মো: জসিম উদদীন ওরুফে গাজী জসিম উদদীন (২৭) নামের এক প্রতারক, জমির দালাল, চাঁদা বাজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের এক সদস্য।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কদমতলী থানা পুলিশ এবং এলাকাবাসী।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গাজী জসিমউদদীন, কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক, বর্তমানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির অনুসারী এবং পূর্নাঙ্গ কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অথবা সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী পরিচয়ে ঢাকায় গড়ে তুলেছে কয়েকটি অপরাধ চক্র। ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন ভবনের কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে থাকে।
নিজের মা বাবার নামে মেসার্স এবি এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করেছে, উক্ত লাইসেন্সে টেন্ডার পাওয়ার জন্য পেশি শক্তি ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে। প্রয়োজনে হলে সুন্দরী রমণীদেরও রাতের পরী হিসেবে উপহার পাঠায় বিভিন্ন দপ্তরের কিন্তু অসাধু কর্মকর্তাদের।
তারই ধারাবাহিকতায় মো: রমজান হোসেন(২৮), পিতা- বেলাল হোসেন, নলছিটি, ঝালকাঠি কে একটি ঠিকাদারি কাজে ৩৯,০০০,০০ ( ঊনচল্লিশ লাখ) টাকা বিনিয়োগে করিয়ে কাজটি ৮৫% সম্পন্ন করায়।
এরপর স্থানীয় চাঁদাবাজ দিয়ে চাঁদা দাবি করিয়ে কাজটি বন্ধ করিয়ে রাখে।
উক্ত রমজান হোসেন বিভিন্ন দপ্তরের যোগাযোগে ব্যস্ত থাকার ফাঁকে উক্ত প্রজেক্টের কাজটি মো: জসিমউদদীন নিজের বলে চালিয়ে দেয় এবং সমুদয় অর্থ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
পাশাপাশি গোপালগঞ্জের পরিচয় এবং ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে রমজান হোসেন কে হয়রানি শুরু করে।
ভুক্তভোগী রমজান হোসেন আদালতের সরনাপন্ন হলে বিজ্ঞ আদালত উক্ত জসিম উদদীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করে।
গতকাল কদমতলী থানা পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে গেলে এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনেকে বিভিন্ন অভিযোগ প্রদান করেন।
যেমন: ৩ জন ছাত্র কে কবি নজরুল কলেজ ভর্তি করানোর কথা বলে ৯০,০০০/ (নব্বই হাজার টাকা) নেয়। কাউকেই ভর্তি করায় নি এবং টাকাও ফেরত দেয় নি উল্টো হুমকী ধামকী দেয়। কিছু ব্যক্তিকে মামলার হাত থেকে বাঁচাতে তদবির বাণিজ্য করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
জগন্নাথ সহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর মালা প্রদানের কথা বলে বিপুল পরিমানে টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতি বছর।
এছাড়াও বিভিন্ন থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রার্থী নেতাদের কাঙ্ক্ষিত পদ পাবার ব্যবস্থা করে দিবে বলেও হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এতকিছু করে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারণ জসিমউদদীন নাকি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পির মাই ম্যান, তিনি না কি গোপালগঞ্জের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের আপনজন এবং প্রশাসনের উপরের মহলের বেশ কিছু অফিসারের সোর্স।