ঢাকা ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

শার্শায় মসজিদে লাইট ও মশার কয়েল ধরানোকে কেন্দ্র করে মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে জখম

যশোরের শার্শায় মসজিদে লাইট জ্বালানো ও মশার কয়েল ধরানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলাম (৪৫) কে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মুয়াজ্জিনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ মে) রাত ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গাজীর কায়বা গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহারুল ইসলাম শার্শার গাজীর কায়বা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ও গাজীর কায়বা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্তরা হলেন,একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে মেহেদী হাসান,সাঈদী হাসান এবং চাচাতো ভাই সিরাজুল।

স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার এশার নামাজ শেষে মুসুল্লিরা সবাই চলে গেলেও অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম মসজিদে লাইট, মশার কয়েল ও ফ্যান জ্বালিয়ে বসে ছিলো। এসময় মুয়াজ্জিন লাইট জ্বালাতে নিষেধ করে। এতে দু’জনার ভিতর এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।পরিবর্তিতে আনোয়ারুল ও তার ছেলে ভাই এবং চাচাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে ৬ /৭ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহারুলকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।পরে স্থানীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত মুয়াজ্জিন শাহারুল জানান,প্রাই প্রতিদিন নামাজের পরে অভিযুক্ত আনোয়ারুন মসজিদ ফ্যান ও মশার কয়েল জ্বালিয়ে বসে থাকে। গতকাল ও মাগরিবের নামাজের পর সে মাশার কয়েল ও ফ্যান চালিয়ে বসে ছিলো। তখন আমি তাকে বলি ভাই নামাজের পরে ফ্যান চালিয়ে বসে থাকেন সমস্যা নাই তবে কয়েল জ্বালিয়েন না যদি জ্বালাতে হয় তাহলে কিনে এনে জ্বালিয়ে বসে থাকেন কারণ অন্য মুসল্লীরা রাগ করেন। এ কথা বলতে সে আমার উপর চড়াও হয় আমি কিছু না বলে বাজারে চলে আসি। পরে ইশার নামজের পর মসজিদের বাইরে আসলে হঠ্যাৎ আনোয়ারুল ও তার ছেলেরা আমাকে এলো পাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং কোপ মেরে আমাকে রক্তাক্ত করে, তখন আমার চিৎকারে মহল্লাবাসি এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুুুুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, মুয়াজ্জিন সাহেব গরিব মানুষ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটননো হয়েছে সেটা আসলেই দূঃখজনক। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যপারে একটি অভিযোগ ও পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি

শার্শায় মসজিদে লাইট ও মশার কয়েল ধরানোকে কেন্দ্র করে মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে জখম

আপডেট সময় ০৪:১৯:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

যশোরের শার্শায় মসজিদে লাইট জ্বালানো ও মশার কয়েল ধরানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহারুল ইসলাম (৪৫) কে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।গুরুতর আহত অবস্থায় ওই মুয়াজ্জিনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ মে) রাত ৯ টার দিকে শার্শা উপজেলার গাজীর কায়বা গ্রামের পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শাহারুল ইসলাম শার্শার গাজীর কায়বা গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ও গাজীর কায়বা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত। অভিযুক্তরা হলেন,একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম ও তার ছেলে মেহেদী হাসান,সাঈদী হাসান এবং চাচাতো ভাই সিরাজুল।

স্থানীয়রা জানান,শুক্রবার এশার নামাজ শেষে মুসুল্লিরা সবাই চলে গেলেও অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম মসজিদে লাইট, মশার কয়েল ও ফ্যান জ্বালিয়ে বসে ছিলো। এসময় মুয়াজ্জিন লাইট জ্বালাতে নিষেধ করে। এতে দু’জনার ভিতর এ নিয়ে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।পরিবর্তিতে আনোয়ারুল ও তার ছেলে ভাই এবং চাচাতো ভাইয়ের নেতৃত্বে ৬ /৭ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শাহারুলকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়।পরে স্থানীরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

আহত মুয়াজ্জিন শাহারুল জানান,প্রাই প্রতিদিন নামাজের পরে অভিযুক্ত আনোয়ারুন মসজিদ ফ্যান ও মশার কয়েল জ্বালিয়ে বসে থাকে। গতকাল ও মাগরিবের নামাজের পর সে মাশার কয়েল ও ফ্যান চালিয়ে বসে ছিলো। তখন আমি তাকে বলি ভাই নামাজের পরে ফ্যান চালিয়ে বসে থাকেন সমস্যা নাই তবে কয়েল জ্বালিয়েন না যদি জ্বালাতে হয় তাহলে কিনে এনে জ্বালিয়ে বসে থাকেন কারণ অন্য মুসল্লীরা রাগ করেন। এ কথা বলতে সে আমার উপর চড়াও হয় আমি কিছু না বলে বাজারে চলে আসি। পরে ইশার নামজের পর মসজিদের বাইরে আসলে হঠ্যাৎ আনোয়ারুল ও তার ছেলেরা আমাকে এলো পাতাড়ি পেটাতে থাকে এবং কোপ মেরে আমাকে রক্তাক্ত করে, তখন আমার চিৎকারে মহল্লাবাসি এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুুুুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তিনি।

ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, মুয়াজ্জিন সাহেব গরিব মানুষ। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি ঘটননো হয়েছে সেটা আসলেই দূঃখজনক। শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আকিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যপারে একটি অভিযোগ ও পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।