ঢাকা ০২:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি র‌্যাব-১৩ এর পৃথক অভিযানে ১৩১১ বোতল ফেনসিডিলসহ শীর্ষ ০৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার কলেজ শিক্ষক জসিমের সিন্ডিকেটের অবৈধ ঔষধ ও চোরাই মোবাইলের রমরমা বাণিজ্য !! বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য : নাহিদ ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত দেশের ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বরিস জনসনের টয়লেটে গিয়ে যে কাণ্ড ঘটালেন নেতানিয়াহু পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা: সিপিডি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বটতলা হাটে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ধামরাইয়ে ১৯৬ মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব

বাউফলে মাদ্রাসা পরিচালকের বলাৎকারে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু

পটুয়াখালীর বাউফলে হাফেজ মো. সেলিম গাজী’র (৪০) লালসার (বলাৎকার) শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল রাফি ইসলাম (১২) নামের এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা এবং এতিমখানা’য় এঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থী আল রাফি মৃত্যু বরণ করেন। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রেজাউল আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশু আল রাফি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলো। মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন কৌশলে বলাৎকার করে। দুই সপ্তাহ আগে শিশু রাফি শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। তখন শিশু নিজেই তার পরিবারকে মাদ্রাসা পরিচালকের অপকর্মের বিষয়টি জানায়। পরে শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক শিশুর শারিরীক পরীক্ষা শেষে জানতে পারে তার মলদারে ক্যানসার হয়েছে এবং রক্তে ছড়িয়ে গেছে। এরপরে শিশুকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ শিশু রাফি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রেজাউল আকন মুঠোফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাপজান চইলা গেলো। আমি কারে হাফেজ বানামু? বলেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।

অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ মো. সেলিম গাজী পলাতক আছেন। তার মুঠোফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে তার বড় ভাই ইউপি সদস্য মো. হাবিব গাজী বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। সে (হাফেজ সেলিম) এখন কোথায় আছে বিষয়টি আমার জানা নেই। গত দুদিন আগে সর্বশেষ তাকে বাজারে দেখেছিলাম। অনেক আগেই আমরা (ভাই-ভাই) আলাদা হয়ে গেছি।’

নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসীন বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালকের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবী করছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজবাড়ীতে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতি

বাউফলে মাদ্রাসা পরিচালকের বলাৎকারে অসুস্থ শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৩:০৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে হাফেজ মো. সেলিম গাজী’র (৪০) লালসার (বলাৎকার) শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল রাফি ইসলাম (১২) নামের এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কাওমিয়া হাফেজিয়া ও নুরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা এবং এতিমখানা’য় এঘটনাটি ঘটেছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার দিকে রাজধানীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু শিক্ষার্থী আল রাফি মৃত্যু বরণ করেন। ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রেজাউল আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শিশুর পারিবারিক সূত্র জানায়, শিশু আল রাফি হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলো। মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ সেলিম গাজী দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিভিন্ন কৌশলে বলাৎকার করে। দুই সপ্তাহ আগে শিশু রাফি শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে যায়। তখন শিশু নিজেই তার পরিবারকে মাদ্রাসা পরিচালকের অপকর্মের বিষয়টি জানায়। পরে শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার মহাখালীর একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক শিশুর শারিরীক পরীক্ষা শেষে জানতে পারে তার মলদারে ক্যানসার হয়েছে এবং রক্তে ছড়িয়ে গেছে। এরপরে শিশুকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে আজ শিশু রাফি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা মো. রেজাউল আকন মুঠোফোনে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বাপজান চইলা গেলো। আমি কারে হাফেজ বানামু? বলেই তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।

অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালক হাফেজ মো. সেলিম গাজী পলাতক আছেন। তার মুঠোফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে তার বড় ভাই ইউপি সদস্য মো. হাবিব গাজী বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। সে (হাফেজ সেলিম) এখন কোথায় আছে বিষয়টি আমার জানা নেই। গত দুদিন আগে সর্বশেষ তাকে বাজারে দেখেছিলাম। অনেক আগেই আমরা (ভাই-ভাই) আলাদা হয়ে গেছি।’

নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মহসীন বলেন, আমি প্রশাসনের কাছে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা পরিচালকের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবী করছি।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।