রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কবুতর চুরির অপবাদে ১০ বছরের সিমান্ত নামের এক শিশুকে রাস্তায় থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির পিলারের সাথে বেঁধে রড ও সাইকেলের সেইন দ্বারা বেধুম পিটিয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্রধারা আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে মনসুর আলী নামের এক সাবেক সেনা সদস্যর বিরুদ্ধে।বর্তমানে ওই কিশোর গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৪নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে কোতয়ালী আরপি এমপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই লোমহর্ষক নিকৃষ্ট অপরাধ করার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন মনসুর আলী। এজাহার ও স্থানীয় জনগণের বরাত দিয়ে জানাগেছে গত ১৩ই আগষ্ট নগরীর সর্দারপাড়ার বাসিন্দা শরিফুল ইসলামের ১০ বছরের শিশু ছেলে সিমান্ত ও তার দুই বন্ধু মিলে হাজিপাড়ার বাসিন্দা মনছুর আলীর বাড়ির সামনে গেলে ৫২বছর বয়সী মনছুর আলী, চোর সন্দেহে অতর্কিত ভাবে তাদেরকে ধাওয়া করে।এসময় অন্য দুই বন্ধু ভয়ে দৌড় দিলেও সিমান্ত সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে এতে মনছুর আলী শিশু সিমান্ত’কে অতর্কিত ভাবে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে ঢুকান সেখানে পিলারের সাথে বেধে ফেলেন তখন পরিবারের অন্য সদস্যরা বেপরোয়া হয়ে জান যে যা পেয়েছে তাই দিয়ে তাই দিয়ে শিশু সীমান্তর উপর নির্যাতন চালিয়েছে শিশু সীমান্তর শরীরে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায।এই ঘটনা কে কেন্দ্র এলাকাতে চাঞ্চল্যের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সাবেক সেনা সদস্য মনছুর আলী শিশু সীমান্তকে রক্তাক্ত গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গেটের বাহিরে ফেলে দিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিকে দিয়ে সটকে পড়ে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী এদিকে ঘটনা বেগতিক দেখে সাবেক সেনা সদস্য মনসুর আলী গা ঢাকা দিয়েছে।
সীমান্তের মা কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানায়, সাবেক সেনা সদস্য মনসুর আলী একজন নরপশু আর নরপশু না হলে কিভাবে এই ১০ শিশুটিকে এভাবে নির্যাতন করতে পারে? আমার ছেলেকে দা’ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় অন্য লোকের সহযোগিতায় সিমান্তকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। এবং এ ঘটনায় আমি গত ১৪ই আগষ্ট কোতয়ালী আরএমপি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।এবিষয়ে ভুক্তভোগী সিমান্ত’র ফুফু রোকেয়া প্রতিবেদক বলেন, এই সাবেক সেনা সদস্য মানুষকে মানুষ মনে করে না সব সময় ক্ষমতা দেখায় এই থানা পুলিশ আমার তোরা কি করতে পারবি ফকিরের বাচ্চা। সবচেয়ে বড় কথা হল এমন একটি ন্যাক্কারজন দুঃসাহসীক ঘটনা ঘটার পরেও সে সিমান্ত’র পরিবারের লোকজনদের মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে আসছে। আর যদি মামলা না তোলে এবার তো বেঁচে গেছে পরে লাসও খুঁজে পাবি না এমনই হুমকি দিয়ে আসছে মনসুর আলী ও তার সহযোগীগণ। আমরা এই ঘৃণিত অপরাধির দৃষ্টান্ত বিচার চাই।
এবিষয়ে রংপুর কোতয়ালী আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানান, নিয়মিত একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে অপরাধী যেই হোক অপরাধ করলে তার ছাড় নেই।